শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>

কলকাতায় হাসিনা-মমতা বৈঠক, অচিরেই তিস্তা সমস্যার সমাধান

  |   রবিবার, ২৭ মে ২০১৮ | 1249 বার পঠিত | প্রিন্ট

কলকাতায় হাসিনা-মমতা বৈঠক, অচিরেই তিস্তা সমস্যার সমাধান

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত শুক্রবার কলকাতা সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। সমাবর্তন শেষে শান্তিনিকেতনে দুই বাংলার সেতুবন্ধন ‘বাংলাদেশ ভবন’ এর শুভ উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন শেষে নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্ত বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। দুজনের বৈঠকে দুই দেশের অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো সমাধানের বিষয়ে গুরত্বারোপ করা হয়। বিশেষ করে বৈঠকে দ্রুতই তিস্তা সমস্যা সমাধেনের আশ্বাস দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


সফরের শেষ দিন দেশে ফেরার আগে মমতার সাথে বৈঠকেও তিস্তা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

সৃত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রথমে মূল সফরসূচিতে এই বৈঠকের উল্লেখ ছিল না । পরবর্তীতে তিস্তা সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনা করে শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জী বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন। মমতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার একটি বৈঠক ঠিক করেছি। সেটা শনিবার উনি বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার আগে হবে। আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি, তিনিও আমাকে খুব স্নেহ করেন।


শনিবার সন্ধ্যায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে বহুল আলোচিত তিস্তা সমস্যা ছাড়াও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কে জোর দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা গেছে তিস্তা সমস্যা নিয়ে মমতা তাঁর আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। তিনি অতি দ্রুত তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সফরের প্রথম দিন তিস্তা বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির আশ্বাস এবং শেষ দিন শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে মমতার ইতিবাচক সাড়া থেকে অনেকেই ধারণা করছেন এবার তিস্তার জট অচিরেই খুলে যাবে।


উল্লেখ্য ছিটমহলসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কয়েক বছর ধরে ঝুলে ছিল । ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরকালে শেখ হাসিনা সরকারের প্রচেষ্টায় তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে সব কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু এই চুক্তির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান মমতা। মমতার দাবি ছিল, বাংলাদেশকে পানি দিলে পশ্চিমবঙ্গ পর্যাপ্ত পানি পাবে না। পরবর্তীতে সম্প্রতি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে মমতা তার পূর্বের কঠোর অবস্থান হতে সরে আসেন।

এছাড়া বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতার থিয়েটার রোডে বঙ্গবন্ধুর নামে জাদুঘর নির্মাণের কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দক্ষিণ কলকাতার থিয়েটার রোডের কাছে একটি জায়গায় কিছুদিন ছিলেন। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে সেখানেই বঙ্গবন্ধু জাদুঘর বানাতে চাই আমরা।’ একই সঙ্গে দু’দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কে উন্নতি, বাণিজ্য-দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান মমতা ৷

এর আগে শনিবার দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার-ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্মাননা গ্রহণের পর বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, এ সম্মান শুধু আমার নয়, সব বাঙালির। তিনি বলেন, আমার জন্য আজকের দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ কবি নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে ডি.লিট প্রদান করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় সম্মানের। এ সম্মান শুধু আমার নয়, সব বাঙালির।

পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধি দুই বাংলার বাঙালিদের উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Facebook Comments Box

Posted ১০:১৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ মে ২০১৮

Akhaurar Alo 24 |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
মোঃ সাইফুল ইসলাম সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

E-mail: info@akhauraralo24.com