| বুধবার, ১৯ আগস্ট ২০২০ | 515 বার পঠিত | প্রিন্ট
বিশেষ প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ইরা মেডিকেল সেন্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে এবং সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক ভূয়া ডাক্তার সনদধারী ইয়াছিন আলম সিদ্দিকীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৮আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার পৌরশহরে অবস্থিত এই মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান। আদালত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ডাক্তার পরিচয়ধারী ওই প্রতারককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় সাথে ছিলেন কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: মোঃ সুমন ।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়; পাশ্ববতী আখাউড়া উপজেলার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তার না হয়েও ভূয়া ডাক্তার সেজে প্রথমে সীমান্ত কমপ্লেক্সে ইরা মেডিকেল সেন্টার নামে ও পরে কসবা উপজেলার পৌর শহরে একটি বহুতল ভবনে ইরা মেডিকেল সেন্টার নামে বড় আকারে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে সর্বরোগের চিকিৎসা করে আসছিলো।
সে ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার সেজে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করার অভিযোগে গতকাল ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী একজন ভু’য়া ডাক্তার নামধারী প্রতারক এটা ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট প্রমানিত হয়।
পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও মেডিকেল সেন্টারটি সিলগালা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সিলগালার সব আয়োজন সম্পন্ন হলেও পরবর্তীতে সিলগালা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ওই ভু’য়া ডাক্তারকে মেডিকেল সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয় এবং প্রকৃত সনদপ্রাপ্ত ডাক্তার এনে আদালতের অনুমতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালাতে বলা হয়।
তাকে এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয় এবং আদেশ অমান্য করলে পরবর্তিতে সিলগালা করা হবে বলে জানায় ভ্রাম্যমান আদালত। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান; এর আগেও তাকে জরিমান সহ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছিলো। পুনরায় আবার এই মেডিকেল সেন্টার চালু করে ডাক্তার সেজে মানুষের সাথে প্রতরনা করে আসছে ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) হাসিবা খান বলেন, ইরা মেডিকেল সেন্টারের মালিক ভু,য়া ডাক্তার সেজে এই প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। আমরা অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছি।
নামধারী ডাক্তার ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে সে কোন ডাক্তার নন। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। তিনি বলেন’ অভিযোগ পেলে উপজেলায় অবস্থিত সকল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হবে।
Posted ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ আগস্ট ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম