| শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০ | 605 বার পঠিত | প্রিন্ট
কসবা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় এক ১৪ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাইমপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কসবা থানায় সুমন(২৪) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগটির প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় শনিবার থানায় ধর্ষণের মামলা হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী তার মায়ের সাথে গত বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে তাদের গ্রামের উত্তর পাশে একটি মৎস্য খামারের পাড়ে লাকড়ী কুড়াতে যায়। দীর্ঘ সময় পর মেয়েটির মা তাকে ওই খামারের পাড়ে রেখে বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে আসে। ওই সময় তাদের পাশ্ববর্তী বাড়ির সুমন মিয়া (২৪) মেয়েটিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে সুমন পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির মা খাবার শেষে ফিসারির পাড়ে গিয়ে দেখতে পায় তার মেয়ে বস্ত্রহীন রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তার মা ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন মাথায় পানি দিলে ঘন্টাখানেক পরে কিশোরীর জ্ঞান ফিরে আসে। ঘটনার পর থেকেই সুমন মিয়া এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।
ধর্ষণের ঘটনাটি কিছু স্থানীয় কিছু মাতাব্বর মিমাংসার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানোর পর তিনি ধর্ষণের বিষয় মিমাংসা যোগ্য নয় বলে থানায় প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত শুক্রবার সুমন মিয়াকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করে। পুলিশ শনিবার মামলাটি ধর্ষণের মামলা হিসাবে থানায় নথিভুক্ত করে।
শনিবার দুপুরে ওই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়ার পর মানসিক প্রতিবন্ধী সহজ ও সরল ভাষায় শিশুটি জানায়, সুমন মিয়া তাকে গলায় চিপা দিয়ে ধরে কাপড় খুলে খারাপ কাজ করেছে। সাহেব সর্দারগণ মিমাংসার কথা বলায় মামলা করতে দেরী হয়েছে। ধর্ষক সুমনের বাবা জানায়, এ ঘটনায় পুলিশ আসার পর থেকেই তার ছেলে বাড়ি থেকে চলে গেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটি সহজ ও সরল প্রকৃতির। ঘটনার দুইদিন পর কিশোরীটির মা থানায় এসে সুমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শনিবার থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। রোববার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য পাঠানো হবে।
Posted ৩:০০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম