মঙ্গলবার ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>

লেবাননে বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ জনের মৃত্যু আহত ৫

  |   বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট ২০২০ | 460 বার পঠিত | প্রিন্ট

লেবাননে বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ জনের মৃত্যু আহত ৫
বিশেষ প্রতিনিধি
লেবাননের বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ তরুন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।নিহত হয়েছে কসবা উপজেলার কাইমপুরের মো:রাসেল (২২)  সদর উপজেলার মাছিহাতার মেহেদী হাছান রনি (২৫)
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত মো:রাসেল (২২) তিনি হলেন, জেলার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের জাজিসার গ্রামের মোর্শেদ মিয়ার ছেলে। কাইমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিস্ফোরণে রাসেলের বড় ভাই সাদেক মিয়া গুরুতর আহত হয়ে বৈরুতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ি গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে মো. সুমন ভূঁইয়া, তাঁর স্ত্রী শিরিনা আক্তার, তিন বছরের মেয়ে সামিরা, ভাগিনা শাওন ভূঁইয়া আহত হয়েছেন। তারা সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুমনের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমেদ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত রাসেলের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। প্রায় চার বছর আগে রাসেল লেবাননে পাড়ি জমান। তার বড় ভাই সাদেকও লেবাননেই থাকেন। রাসেল বৈরুতে একটি তেলের পাম্পে চাকরি করতেন। রাসেলের লাশ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

উল্লেখ্য, বৈরুতের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান রনির (২৫) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের মার্চ মাসে লেবাননে যান।


এদিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে নিহত মেহেদী হাছান রনি (২৫) ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ছেলেকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বাবা তাজুল ইসলাম। আর মা ইনারা বেগম ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। স্বজনদের চোখেও পানি।

রনির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রনি। গ্রামের একটি স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু দারিদ্রের কারণে পড়াশোনা বেশিদূর এগোয়নি। বাহরাইন প্রবাসী বাবা তাজুল ইসলাম প্রবাসে সুবিধা করতে না পারায় পরিবারের কথা ভেবে রনি বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর্থিক দৈন্যদশার কারণে সুদে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ লেবাননে পাড়ি জমান রনি। এর মধ্যে রনির বাবা তাজুল ইসলামও বাহরাইন থেকে দেশে ফেরত আসেন। তবে পরিবারের জন্য হাসিমুখেই কাজ করে যাচ্ছিলেন রনি। লেবাবনের বৈরুতে একটি বিপনী বিতানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন তিনি।


Facebook Comments Box


Posted ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট ২০২০

Akhaurar Alo 24 |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
মোঃ সাইফুল ইসলাম সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

E-mail: info@akhauraralo24.com