শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>

সরকারি ক্ষতি পূরনের টাকা পেতে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের উপরে স্থাপনা নির্মান!

  |   বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০ | 1722 বার পঠিত | প্রিন্ট

সরকারি ক্ষতি পূরনের টাকা পেতে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের উপরে স্থাপনা নির্মান!

আশরাফুল মামুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা পর্যন্ত চার লেনের আন্তর্জাতিক মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য শ্রীঘ্রই জমি অধিগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে । আর এমন খবরে গাছে কাঠাঁল গোঁফে তেল দিচ্ছে এক শ্রেনীর অর্থলোভী জমির মালিকেরা। আর তাদের কে সার্বিক সহযোগিতায় অর্থ ভাগাভাগির শর্তে মদদ দিচ্ছে এক শ্রেনীর দালাল চক্র।

জানাগেছে, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সরাইল-ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নতি করা করছে সরকার। এই কাজে ৩ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যায় হবে। সড়কটি তিন ধাপে উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রথম ধাপে পড়েছে আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সরাইল পর্যন্ত ১২ দশমিক ২১ কিলোমিটার, নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ধাপে সরাইল-ধরখার পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। তৃতীয় ধাপে করা হবে ধরখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন। এই উন্নয়ন কাজে বাকী টাকা খরচ হবে।শিগগিরই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে এখানে।


যেসব এলাকা দিয়ে এই মহাসড়ক নির্মিত হবে এই প্রকল্প কে সামনে রেখে রাতারাতি মোটা অংকের টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ পেতে আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এর সভাপতি মোবারক হোসেন ভূইয়া আখাউড়া – আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের বঙ্গের চর এলাকায় রাস্তার উপরেই পাকা স্থাপনা নির্মান করছেন। যদিও মহাসড়ক থেকে ৬ থেকে ৭ ফুট দূরত্বের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মানের নিয়ম নেই।

মোবারক হোসেন ভূইয়ার মত অনেকেই মোটা অংকের ক্ষতি পূরন পেতে রাতারাতি পাকাবাড়ী নির্মান করছেন যা গত কয়েক মাস আগেও এসব স্থাপনার অস্তিত্ব ছিল না। কারণ তারা জানেন কৃষি ও পতিত জমির চেয়ে পাকা বাড়ির ক্ষতিপূরণ কয়েকগুন বেশি পাওয়া যাবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ধরখার থেকে শুরু করে মোগড়া, খলাপাড়া, সাতপাড়া, আনন্দ পুর, রহিমপুর,গাজির বাজার, দ্বিজয়পুর, বঙ্গের চর এলাকায় অসংখ্য নতুন স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে। সাতপাড়া এলাকায় খাইরুল বাশার নামে এক লোক আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গড়ে তুলেছে বিশাল এলাকা জুড়ে স্থাপনা।নাম দিয়েছে সাতপাড়া এগ্রো ফার্ম।কিছু এলাকায় খেতের ধান কেটে ইটের ঘর করা হচ্ছে। পাকা ঘর নির্মাণ করতে ঢালাইকাজে রডের সঙ্গে বাঁশও দেওয়া হচ্ছে। এসব স্থাপনায় নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় যেকোন সময় এগুলো ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকার প্রত্যাক্ষদর্ষীরা।


এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নতুন করে যারা স্থাপনা করছে তারা ক্ষতিপুরণ পাবেনা। অনেক আগেই এই প্রকল্পের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই নতুন করে স্থাপনা করে ক্ষতিপুরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।তিনি আরো বলেন, ধানি জমিতে যারা পাকা স্থাপনা তৈরী করেছে তাদেরকে এনে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা জমিতে স্থাপনা তৈরী করার চেষ্টা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box


Posted ২:৫২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

Akhaurar Alo 24 |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
মোঃ সাইফুল ইসলাম সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

E-mail: info@akhauraralo24.com