| মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ | 1263 বার পঠিত | প্রিন্ট
এসএম টিপু চৌধুরীঃ আর্থিক অভাব অনটন থেকে মুক্তি ও দারিদ্রকে দূর করার জন্য কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সৌদি আরব যান দুই সন্তানের জননী ইয়াছমিন (৩৫) বয়সী নারী। তার পার্সপোর্ট নং- BK-0451907। প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের মো: মঙ্গল মিয়া ও নেহেরা খাতুনের মেয়ে ইয়াছমিন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে পরিবারের আর্থিক সংকট দূর করার জন্য কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রবাসে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন ইয়াছমিন। পরে বিক্রুটিং মেসার্স এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (আর এল-১১৬৬) এর মাধ্যমে সৌদি আরবে বাসা বাড়ির কাজের ভিসায় পাঠায়। ইয়াছমিন সৌদিতে যাওয়ার পর সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে এক দুই বার ফোনে কথা হইছে তার বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে। তখন সে প্রবাস থেকে তার মাকে মুঠোফোনে জানান সে অনেক কষ্টে আছেন দেশের ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। প্রবাসে গেছেন প্রায় সাড়ে ৩ বছর হলেও আদৌ পর্যন্ত এক টাকাও বেতন পায়নি ইয়াছমিন। ইয়াছমিন মালিক পক্ষকে বেতনের কথা বললে তাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে জানিয়েছেন তা বৃদ্ধা মা। তাকে সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য বৃদ্ধা মা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থা মন্ত্রনালয়ে একাধিক দরখাস্থ করলেও আজও পর্যন্ত কোন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
ইয়াছমিনের বৃদ্ধা মা নেহেরা খাতুন বলেন, আমার মেয়ে তার দুইটি মাছুম বাচ্চা রেখে বিদেশে গিয়েছিল কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে। অর্থনৈতিক মুক্তি পাওয়ার আশায় বিদেশে পাড়ি দিয়ে ছিলে ইয়াছমিন। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ খবর পায়নি। বর্তমানে আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। তার দুইটা বাচ্চা আজ বড় অসহায়। ইয়াছমিনের সন্তানগুলো তার মা জন্য অনেক কান্নাকাটি করছেন। আমি আর কিছু চাই না। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। আমার মেয়ে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে জানি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই। আমার মেয়ে ইয়াছমিনকে আপনারা দয়া করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।
Posted ২:৫৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম