
রওনক ইসলাম | সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১ | 449 বার পঠিত | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় করোনাকালে লাইব্রেরী ব্যবসায় ধস নেমেছে।করোনা ভাইরাস ব্যবসায়ীদের পথে বসিয়ে দিয়েছে।ইতিমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী তাদের বইয়ের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বই ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছে।দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত তাদের ব্যবসা সচল হবে না।
বেচাকেনা না থাকায় অনেক লাইব্রেরী ব্যবসায়ী বই বিক্রির পাশাপাশি কসমেটিক ও নিত্য পণ্যের ব্যবসা করছেন।আবার অনেকে দোকান ভাড়া না দিতে পেরে ফুটপাতে বসে খাতা কলম বই বিক্রি করার চেষ্টা করছে।
লাইব্রেরী ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১৮ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।সেজন্য দোকানগুলোতে পাঠ্যপুস্তক বিক্রিও বন্ধ রয়েছে।সরকারি স্কুল কলেজ অনলাইন ক্লাস ও ক্লাস ভিত্তিক অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু করে।এসাইনমেন্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।সহায়ক গাইড এর প্রয়োজন পড়ছে না।শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে সহজেই উত্তরপত্র খুঁজে পাচ্ছে এবং তা লিখে প্রতিষ্ঠানে জমা দিচ্ছে।
তবে করোনার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনলাইনে দিকে বেশি ঝুঁকছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় পরীক্ষা হবে কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো সময় বন্ধ থাকলে এই সংকট আরো বেড়ে যাবে।
ব্যবসা বন্ধ থাকলেও দোকান ভাড়া বিদ্যুৎ বিল কর্মচারী খরচ ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন খরচ দিতে হচ্ছে।এ অবস্থায় ব্যবসায় টিকে থাকা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন লাইব্রেরী ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের হাকিম লাইব্রেরির পরিচালক মোঃ হাকিম মিয়া জানান গত ১৮ মাস ধরে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না থাকায় বই ব্যবসায় ধস নেমেছে দোকান ভাড়া সহ অন্যান্য ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি স্কুলগুলি খুলে দেয় তাহলে আমরা এ ব্যবসা করে জীবন ধারন করতে পারব।
শহীদ আমির হোসেন রোডের খান লাইব্রেরীর পরিচালক তোফায়েল খান জানান,করোনা কালে লাইব্রেরী ব্যবসা একেবারে তলাবিহীন ঝুড়ির মত হয়ে গেছে।স্কুল-কলেজ যদি খোলা থাকতো তাহলে আমাদের এই অবস্থা হতো না। সে কারণে আমরা এখন আর্থিক এবং মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
আখাউড়া পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দু মিয়া জানান, করোনাকালে গত ১৮ মাস ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় আখাউড়া লাইব্রেরী ব্যবসায় ধস পড়েছে।এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ দোকান ভাড়া বিদ্যুৎ বিল ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকে পেশা পরিবর্তন করছেন।আবার কেউ কেউ ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন।
করোনাকালে অন্যান্য পেশাজীবীদের কে প্রণোদনা ও আর্থিক সহযোগিতা দিলেও সরকারী ভাবে লাইব্রেরী ব্যবসায়ীদেরকে কোন সহযোগিতা করা হয়নি।এ অবস্থায় লাইব্রেরী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দ্রুত স্কুল কলেজ খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
Posted ৬:২৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |