
| সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০১৯ | 730 বার পঠিত | প্রিন্ট
আখাউড়া প্রতিনিধি#
কোমলমতি ৪৫জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতের কথা জানেনাশিক্ষা অফিসার। আখাউড়া পৌরসভার টানপাড়া বেসরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসের খাতায় নাম নেইবিদ্যালয়টির।
ওই বিদ্যালয়ের দায় দায়িত্ব শিক্ষা অফিসের না বলেজানান শিক্ষা কর্মকর্তা। অথচ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতার ১৪ বছরেপা রেখেছেন। দীর্ঘদিনের হলেও বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন হয়নি।ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি শিক্ষার্থীও শিক্ষকদের। এক পয়সাওসরকারি অনুদান পৌঁছেনি বিদ্যালয়টিতে। সরকারি সুযোগ সুবিধাথেকে বঞ্চিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে ঘরটি ভেঙে পড়ায়অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনীহাদেখাচ্ছেন।
অভিভাবকরা চিন্তিত থাকত তাদের সন্তানদেরবিদ্যালয়ে পাঠিয়ে। কারণ যে কোন সময় ঘরটি ভেঙে তাদেরসন্তানদের ওপরে পড়তে পারে। বিদ্যালয়টি টিনের চাল, বেড়া ওদরজা জানালা ভেঙে পড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে অন্য স্থানে সড়িয়েনেওয়া হয়েছে। একটি বাড়িতে এখন পাঠদান করানো হচ্ছে।অবশেষে এ বিদ্যালয়টির দায়িত্ব নিয়েছেন আখাউড়া পৌরসভাকর্তৃপক্ষ।
জানাগেছে, ২০০৫ সালে আখাউড়া পৌরসভার টানপাড়া গ্রামবাসীটানপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ওইবিদ্যালয়ে চার জন শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া হয় সেই সময়ে। প্রথমদিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বিদ্যালয়টির ঘর দরজা ভেঙেপড়ার ফলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীউপবৃত্তিসহ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।কারণ তারা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী।
শিক্ষকরাওবিনা পয়সাতে পাঠদান করাচ্ছেন। ৩৩ শতক ভূমির ওপরবিদ্যালয়টি দু’চালা টিনের ঘর। টিনের বেড়া। প্রতিষ্ঠাতার পরথেকে উন্নয়নের হাত না লাগার কারণে ধীরে ধীরে ঘরটি ভেঙে পড়েযায়। বিদ্যালয়টি দেখে বুঝা যাবে না সেটি একটি বিদ্যালয়।দেখলে মনে হবে এখানে বহুদিন ধরে কোন উন্নয়ন হয়নি।পরিত্যক্ত ঘর বলে মনে হবে। গত ১৩ মার্চ পর্যন্ত এই ঘরে শিক্ষকরাছাত্রছাত্রীদেরর পাঠদান করিয়েছেন।
বেসরকারি বিদ্যালয় হওয়ায়উপজেলা শিক্ষা অফিসে ওই বিদ্যালয়টির নাম নেই বলেজানিয়েছেন দায়িত্বশীল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূরজাহানবেগম। তিনি প্রথমে জানান আখাউড়াতে কোন বেসরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। পরে তিনি অন্যদের জিজ্ঞেস করে জানানওই বিদ্যালয়ের দায় দায়িত্ব আমাদের নেই।
টানপাড়া গ্রামের ইয়াছমিন বেগম বলেন, আমার মেয়ে ওই স্কুলে টু–তে পড়ত। স্কুলটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ভয়ে অন্য স্কুলে ভর্তিকরিয়েছি।
টানপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাজেসমিন আক্তার বলেন, বছর খানেক আগেও ১৩৮ জন শিক্ষার্থীছিল। বিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণে বর্তমানে ৪৫জন শিক্ষার্থীরয়েছে। বিদ্যালয়টি ভাঙচুরার কারণে অভিভাবকরা তাদেরসন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি নাপাওয়ার কারণেও কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আমরাশিক্ষকরাও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারি কোনসুযোগ সুবিধা পায়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি’র সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. মহসিন মিয়া মন্টু বলেন, এলাকার ছোট ছোট শিশুদের কথা চিন্তাকরে ও সকল নিয়ম কানুন মেনেই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠতা করাহয়েছিল। অবশেষে আমরা গ্রামবাসীরা মিটিং করে এবং
সবারসম্মতিক্রমে চলতি মাসের ২৪ তারিখে আখাউড়া পৌরসভাকর্তৃপক্ষের নিকট বিদ্যালয়টি হস্তান্তর করেছি। যতদিন পর্যন্ত নতুনভবন না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকারবাড়িতে পাঠদান করানো হবে আগের মতোই।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমানবলেন, আমরা শুধু ওই বিদ্যালয়ে বই প্রশ্নপত্র দিয়ে থাকি। সরকারিবিদ্যালয়ের কাজ করে ওই বিদ্যালয়ের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগনেই।
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, গ্রামবাসী পৌরসভার কাছে স্কুলটি হস্তান্তর করেছেন। এই প্রাইমারীস্কুলটিতে প্রথম থেকে অষ্টমশ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চালু করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ পৌরসভার এক সভায় এ বিষয়েসিদ্ধান্ত হয়েছে। পৌরসভার রাজস্ব তহবিল থেকে স্কুল ভবনসহসকল কার্যক্রমের ব্যয় গ্রহণ করা হবে। আগামী মাস থেকে নতুনভবনের কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদশামছুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়টির দুরবস্থা দূর করণে প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৪:০৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০১৯
Akhaurar Alo 24 | আখাউড়ার আলো ২৪ ডেস্ক
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |