মঙ্গলবার ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>

আখাউড়ায় বিধবাভাতা ও বয়স্কভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

  |   শুক্রবার, ০৩ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট

আখাউড়ায় বিধবাভাতা ও বয়স্কভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অমিত হাসান অপু:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের(বড় লৌহঘর গ্রাম) মেম্বার আনোয়ার হোসেন ওরফে কালু মেম্বার এবং ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রুকেয়া ওএমএস,বিধবাভাতা ও বয়স্কভাতা কার্ডের জন্য জনপ্রতি ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।


বৃহষ্পতিবার(৩জুলাই) দুপুরে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বড় লৌহঘর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় হতদরিদ্র, বিধবা ও বয়ষ্ক মহিলাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় কালু মেম্বার ও মহিলা মেম্বার রুকেয়া।

 


মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বড় লৌহঘর গ্রামের মোঃআব্দুল মালেকের স্ত্রী মোসাঃ হেনা বেগম,লাল মিয়ার স্ত্রী সায়েরা, শাহিনের স্ত্রী,স্বপনের মা মাজেদা,মন মিয়ার স্ত্রী আমেনা,মজিদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক,সুরুজ মিয়ার ছেলে খোরশিদ মিয়া, মির হোসেনের মা,কাশেমের স্ত্রী সেলিনা, হেবজু মোল্লা,বাবুলের স্ত্রী জায়েদা,হোসেনের স্ত্রী বীনা প্রমূখের কাছ থেকে ওএমএস, বয়ষ্কভাতা ও বিধবাভাতার কার্ডের জন্য জনপ্রতি ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।

মহিলা মেম্বার রুকেয়া ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নিয়েছে জায়েদা,সেলিনা,মাজেদা,হেনা প্রমূখের কাছ থেকে।


অভিযোগকারীরা জানায়,কার্ড করতে খরচ লাগে বলে আমাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ থেকে আড়াইহাজার টাকা করে নিয়েছেন কালু মেম্বার ও রুকেয়া মেম্বার।যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের কপালে কার্ড ও জুটেনি।

হেনা বেগম(৮০)নামে এক অসহায় হতদরিদ্র বয়ষ্ক মহিলা বলেন,আমার ছেলে সন্তান নাই।পাড়া প্রতিবেশীর কাছ থেকে চেয়ে খাবার খেতে হয়।এই বয়সে ৩ বেলা খাবার জোটাতে অনেক কষ্ট হয় আমার ।সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য আকূল আবেদন জানাচ্ছি। আইডি কার্ডে আমার বয়স ২০ বছরের মতো কমিয়ে রাখা হয়েছে। মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে গেলে বলে আমার বয়স হয়নি এখনো।সরকারী চালের কার্ডের জন্য আমার কাছ থেকে ২৫০০ টাকা নিয়েছে মহিলা মেম্বার রোকেয়া।

ওএমএস, বিধবাভাতা ও বয়ষ্কভাতা কার্ড দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য রোকেয়া অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযোগকারীদের চিনে না বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড় লৌহঘর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ওরফে কালু মেম্বার বলেন,এক বেডা ১০ হাজার টাকা পাইতেছে আমরা তার উপকার করে ১ হাজার টাকা নিতাছি।১ হাজার টাকা আমাদের খরচ লাগে।১ হাজার টাকা ২ হাজার টাকা নিতাছি তাদের উপকারের জন্য। এক জায়গাতেই ৫শ টাকা গুঞ্জা দিতে হয় মুখ বন্ধ রাখার জন্য।

মুঠোফোনে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)নাজমুল হাসান বলেন,কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি।পুরো বিষয়টা জেনে ব্যবস্থা নেব।

Facebook Comments Box

Posted ৪:৪৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ জুলাই ২০২০

Akhaurar Alo 24 |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০ 
মোঃ সাইফুল ইসলাম সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

E-mail: info@akhauraralo24.com