
| রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | 1161 বার পঠিত | প্রিন্ট
আখাউড়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা পশ্চিম পাড়া গ্রামের হাজী আব্দুস(৭৫) বাড়ির পাশে ১০ একর পুকুরে ৬ বৎসর যাবৎ মাছ চাষ করেছিলেন।বিগত দিনে মাছের ব্যবসায় কখনো লোকসান হয়নি তার।আব্দুস সামাদের স্ত্রী-পুত্র পরিজনদের কে নিয়ে বেশ ভালই যাচ্ছিল দিনকাল কিন্তু হঠাৎ রাতের আধারে মাছের সাথে শত্রুতা করে কে বা কাহারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে এই পুকুরে ৭ প্রজাতির মাছ সংখ্যায় সর্বমোট ৯৬ হাজার তিনশত পিস মাছ ছিল। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩৫ লক্ষাধিক টাকা।
আব্দুস সামাদ জানান আমার পাঁচ ছেলে এই পুকুরে শ্রম দিয়েছে মাছ চাষ করেছে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কিছু লাভের আশায় কঠোর পরিশ্রম করেছে কিন্তু কে বা কাহারা পুকুরে বিষ দিয়েছে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে আমার বড় ছেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অন্য ছেলেদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি অনেক টাকা ঋণ হয়েছে কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করব মাছের খাবারের দোকানে অসংখ্য টাকা ঋণ রয়েছে কিভাবে ঋণ পরিশোধ করব এখন বুঝে আসছেনা সরকারের সহায়তা দাবি করেছেন তিনি। আব্দুস সামাদের বড় ছেলে আব্দুল কাদির (৪০) ঋণের চিন্তায় অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তার মেজো ছেলে জানিয়েছে এমনিতে কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই তবে গত কয়েকদিন পূর্বে মাছ বিক্রির জন্য প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে মাছ বিক্রির প্রস্তাবনা তোলা হয় সেখানে তিনজন নিলামে অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে রয়েছেন কসবা উপজেলার এরশাদ, ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামের সজল মিয়ার ছেলে রিমন, এবং জুলু মিয়ার ছেলে ইকরাম মিয়া অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্য থেকে নিলামে মাছ পেয়েছিলেন কসবা উপজেলার এরশাদ মিয়া তাকে মাছ তুলে দেওয়ার কথা ছিল যেদিন তার পূর্বের রাতেই কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করেছে তা বুঝে উঠতে পারছি তবে এ বিষয়ে থানায় কোন সাধারণ ডাইরী অথবা অভিযোগ করতে সুযোগ পায়নি বড় ভাই অসুস্থ হয়েছেন তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার কারণেই মামলা করার সময় পাইনি তবে এখন করবো।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমেদ নিজামী জানান এ বিষয়ে কেউ জানায়নি অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ৩:১১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম