
| শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৯ | 3468 বার পঠিত | প্রিন্ট
অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যান হলেন মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের মো. কামাল ভূঁইয়া। এলাকার ক্ষোভের মুখে ওই চেয়ারম্যান বিক্রি করা চালের ৪৩ হাজার টাকা গতকাল শুক্রবার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজলের কাছে ফেরত দেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি আখাউড়ার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কয়েক দফায় মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জন্য ১০ টন চাল বরাদ্দ হয়। কিন্তু ওই পরিমাণ চাল বিতরণের মতো ক্ষতি ওই এলাকায় হয়নি। এই সুযোগটিই কাজে লাগান চেয়ারম্যান। এলাকায় আলোচনা হয়, চেয়ারম্যান অন্তত চার-পাঁচ টন চাল আত্মসাত করেছেন।
এ অবস্থায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান আলমগীর ভূঁইয়া সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও অবহিত করা হয়।
ওই চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করা কিংবা আইনি প্রক্রিয়ার কোনো একটা পথ বেছে নেওয়ার জন্য বলতে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়রকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ অবস্থায় মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে চেয়ারম্যানকে কথাটা জানিয়ে দেন মেয়র। গতকাল শুক্রবার মেয়রের কাছে চাল বিক্রির ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে যান চেয়ারম্যান।
খালেকুজ্জামান আলমগীর ভূঁইয়া জানান, মেয়রের কাছে চেয়ারম্যান কিছু টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ওই চেয়ারম্যান গত বছরও চাল বিক্রিতে নানা ধরণের অনিয়ম করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় চাল বিক্রির খবরটি বিভিন্নভাবে জানতে পারি। ওই চেয়ারম্যান পৌরসভা মেয়রের কাছে টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা বলেন, ইউএনওর কাছে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল ভূঁইয়া আমার কাছে শুক্রবার ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন। রবিবার ওই টাকা ইউএনওর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
তবে মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল ভূঁইয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি টাকা ফেরত দেননি বলে জানান। এ বিষয়ে ফোনে না বলে সামনা সামনি বিস্তারিত বলবেন জানিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন
Posted ৪:১৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৯
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম