আখাউড়া প্রতিনিধি#
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারস্থ অর্থী টেলিকমে সকাল ১০ টার দিকে অর্থী টেলিকম থেকে ৩,২৩৭৪০ ( তিন লক্ষ তেইশ হাজার সাতশত চল্লিশ টাকা) নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে দোকানের কর্মচারী মোঃ পায়েল মিয়া ( ২৫)
পায়েল মিয়া সদর উপজেলার বরিশল গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার পুত্র বর্তমানে আখাউড়া পৌর শহরের মালদার পাড়ার আবুল কাশেম মিয়ার ভাড়াটিয়া।
এ ঘটনার পর পায়েলের বরিশল ও মালদার পাড়ার বাড়িতে খোজ নিলে জানা যায় সে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে কেউ তার কোন সন্ধান দিতে পারেনি অভিযুক্ত পায়েল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রেখেছে, তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি হলোঃ-
০১৯৯৪৯২৭৪৪২
অর্থী টেলিকমের স্বত্বাধীকারী মাওঃ মোঃ আল-আমিন জানান, আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি অর্থী টেলিকম নামক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য দুজন কর্মচারী মোঃ পায়েল মিয়া(২৫) ও সুমন মিয়া(২৬) কে দিয়ে দুবছর যাবত ব্যবসা পরিচালনা করিয়ে আসতেছি, এর মধ্যে আজ সকালে আমার কর্মস্থল স্কুলে যাওয়ার পথে পায়েল কে টাকাগুলো দিয়ে দোকানের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে স্কুলে চলে যায়, স্কুলে যাবার আধাঘন্টা পরে আমার দ্বিতীয় কর্মচারী সুমন এসে দোকানটি বন্ধ পায় পরে আমাকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জানায় আমি দ্রুত দোকানে এসে দেখি দোকানটি তালাবদ্ধ পরে আমার কাছে থাকা অবশিষ্ঠ চাবি দিয়ে দোকান খোলে দেখি টাকা সহ পায়েল লাপাত্তা হয়েছে, আমি আখাউড়া থানায় পায়েলের বিরোদ্ধে অভিযোগ দ্বায়ের করা হয়েছে।
পায়েল টাকা নিয়ে পালানোর সময় পাশের দোকানে চাবিটা রেখে চলে যায় এর পর থেকে তার আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি৷ পরে দোকান খুলে দেখি পায়েলের কাছে রেখে যাওয়া টাকা সহ সে লাপাত্তা হয়েছ তার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোনদিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়,সকাল থেকে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত তার কোন খোজ পাওয়া যায়নি, আমি তাকে খুবই বিশ্বাস করতাম কিন্তু সে বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছে আমার টাকা নিয়ে পলিয়ে গেছে।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমদ নিজামী বলেন,মাওঃ আল-আমিনের অভিযোগ পেয়েছি,অভিযুক্ত পায়েল গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।