
| শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | 501 বার পঠিত | প্রিন্ট
মহিউদ্দিন মিশু, আসাম থেকে#
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম রাজ্যে বৈশাখী
উৎসব উদযাপিত হয়েছে। আসামের গুয়াহাটিতে
নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন এ বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করেন।
শনিবার বিকাল থেকে রাজধানীর গুয়াহাটির সাউথ পয়েন্ট স্কুল মাঠে এ বৈশাখী উৎসব শুরু হয়। চলে রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’- গানে গানে এক অনিন্দ্য মূর্ছনায় ১৪২৬ বাংলা সালকে বরণ করে নেয় আসাম রাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ্ মো. তানভীর মুনসুর ও তার সহধর্মিণী মুনিরা আজমসহ বাংলা ভাষাভাষি আসামী বাঙালিরা।
নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে
বন্তিপ্রজ্জলন করেন আসাম রাজ্যের কমিশনার এন্ড কালচারাল ডিপার্ট্মেন্টের সেক্রেটারী প্রীতম সাকিয়া।
এসময় পূর্বোত্তর ভারতের আসাম রাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ্
মো. তানভীর মুনসুর ছাড়াও গুয়াহাটি ইউনির্ভাসিটির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু চক্রবর্তী, পরিচালক অব এনইজেডসিসি ( আসাম) জীতুল সুনুয়াল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অব আসাম ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ভাস্কর পৌকান, এডিশনাল সেক্রেটারী অব দি ডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজম আসাম রেজবী হোসাইন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এবং পূর্বপশ্চিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ও
দৈনিক যুগান্তর, ডেইলি অবজারভার আখাউড়া প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশুসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের গুয়াহাটির সাউথ পয়েন্ট স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে রসনা বিলাসের এই বৈশাখী আয়োজনে বসেছিল রাজ্যবাসীদের মিলন মেলা। সন্ধ্যার বৈশাখী অনুষ্ঠানে
ত্রিপুরা থেকে আগত প্রখ্যাত শিল্পী রাজা হাসানের বাউল গান আর রাজ্যের নিজস্ব শিল্পীদের নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্রের মূর্ছনায় বিমোহিত হয় স্রোতারা। অনেকে শিল্পীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনুষ্ঠানস্থান মুখরিত করে তোলেন।
বাঙালির আনন্দঘন দিন ‘পহেলা বৈশাখ’ দেশীয় ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের পিঠা-পুলি দিয়ে আপ্যায়ন করানো হয় আগতদের। উৎসবে সকলের মাঝে ছিল বৈশাখী সাজ রঙিন পাঞ্জাবি, বৈশাখী শাড়ি।
দ্বিতীয় পর্বে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী খাবারের পাশাপাশি নানাল ধরনের মিষ্টান্নসহ হরেক রকমের দেশীয় খাবারের মধ্যদিয়ে সকলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। ভারতের আসাম ভূখন্ডে এ যেন ‘একটুকরো বাংলাদেশ’ তৈরি হয়েছিল বৈশাখী আয়োজনে।
সবশেষে বিভিন্ন খেলায় অংশ নেয়া বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী ও সম্মানীত অতিথিদের সম্মাননা তুলে দেন সহকারী হাইকমিশনার।
আসামে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ্ মো. তানভীর মুনসুর বলেন, যেখানে বাঙালি সেখানেই বৈশাখী আনন্দ। বৈশাখী এ আনন্দে বাংলাদেশের ন্যায় বাংলা ভাষাভাষী আসাম রাজ্যেও চলছে বিহু বা বর্ষবরণের উৎসব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ভারত তথা উত্তর -পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে।
Posted ৪:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯
Akhaurar Alo 24 | আখাউড়ার আলো ২৪ ডেস্ক