
| রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ | 1525 বার পঠিত | প্রিন্ট
বিশেষ প্রতিনিধি#
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে পারলেন না জাহাঙ্গীর আলম।ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তর বেড়াজালে অপরাধী না হয়েও অপরাধী হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগরে কারাভোগ করেছেন।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের রূপনগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে।
তিনি মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুরে একটি কোম্পানিতে ২০০৭ সাল থেকে চাকরি করছেন। গত তিন মাস ছুটি শেষ করে ১৬অক্টোবর মালয়েশিয়াতে তার কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
১৫ অক্টোবর কসবা উপজেলা শীতল পাড়া গ্রামের রতন মিয়া নামে এক ব্যক্তি মালয়েশিয়াতে তার বড় ভাই সজীব অসুস্থ থাকায় কিছু হার্টের ওষুধসহ একজোড়া জুতা জাহাঙ্গীর এর কাছে নিয়ে আসেন তার বাড়িতে।
১৬ অক্টোবর ভোরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল জাহাঙ্গীরের।
তার কাছে ব্যাগে রাখা জুতার ভিতর ইয়াবা রয়েছে বলে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বহির্গমন বোডিং কাউন্টারের সামনে থেকে সিটিএসবি বিমানবন্দর জোন জাহাঙ্গীরকে আটক করে।
এসময় তার ব্যাগের ভেতর থেকে প্রাপ্ত জুতায় তল্লাশি চালিয়ে ১২৮পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। তিনি এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীরের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, জাহাঙ্গীর ছোটকাল থেকে সে কখনো সিগারেট পর্যন্ত খায়না। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এলাকায় সে খুব ভালো মানুষ হিসাবে বেশ সুনাম রয়েছে।
মালয়েশিয়ায় যে কোম্পানিতে জাহাঙ্গীর চাকরিরত ওই কোম্পানিতে কসবার সজীব নামের লোকটি জাহাঙ্গীর ছুটিতে দেশে থাকায় তার স্থানে চাকরি করছেন। জাহাঙ্গীরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়াতে ওই সজিবকে স্থানটি ছেড়ে দিতে হবে। তাই জাহাঙ্গীর যাতে তার কর্মস্থলে আর ফিরে যেতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করে মালয়েশিয়ায় থাকা সজিব তার স্বজনদের দিয়ে এ চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসিয়েছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো:রুস্তম ভূইয়া বলেন, জাহাঙ্গীর একজন পরহেজগার মানুষ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সে কখনো ইয়াবা সেবন করতে পারেন না।
সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তার মুক্তি দাবি জানান পরিবার, এলাকাবাসীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
Posted ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৯
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |