| সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট

কসবা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিশারাবাড়ী গ্রামে ভাতিজাকে জিম্মি করে দশ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করতে গিয়ে আবিস্কৃত হলো চাচার ঘরে মেঝের নীচে বিশাল কক্ষে গোপন টর্চার সেল।
ওই টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে সোহরাব খান সৌরভ (২৫) নামে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত (১৯ জুলাই)রোববার গভীর রাতে চাচা ইমরান মিয়ার ঘরের ভিতরে নির্মিত ওই টর্চার সেল থেকে গ্রেপ্তার করে সৌরভকে এবং উদ্ধার করা হয় জিম্মি হওয়া ভাতিজা মোস্তাক মিয়াকে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোস্তাক মিয়া বাদি হয়ে কসবা থানায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রামবাসী ও থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিশারাবাড়ী গ্রামের মৃত ফজুলর রহমানের ছেলে কসবা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাক মিয়া গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। বাড়ির কাছে গেলে মৃত আবদুল মালেক মিয়ার ছেলে ইমরান মিয়া মোস্তাককে মুখে চেপে ধরে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে যায়।
পরে ওই ঘরে থাকা ভাড়াটিয়া সৌরভের সহযোগিতায় মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে ও কালো কাপড়ে চোখ বেধে ঘরের নিচে গোপন টর্চার সেলে নিয়ে যায়। সেখানে লোহার শিকল দিয়ে বেধে তাকে মারধোর করা হয় এবং ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে চাচা ইমরান মিয়া। টাকা না দিলে তাকে খুন করা হবে মোস্তাককে টর্চার সেলের ভিতর হুমকি দেয় ইমরান ও ভাড়াটিয়া সৌরভ।
হঠাৎ সামান্য সময়ের ব্যবধানে মোস্তাক বাড়িতে না আসায় তাকে খোঁজাখোঁজি শুরু করে বাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে ইমরানের ঘরেও তল্লাসী করে মোস্তাকের পরিবারের লোকজন।সে সময় টর্চারসেলে ধস্তাধস্তি করে উপরে উঠে আসে মোস্তাক এবং চিৎকার দিলে মহল্লার মানুষ ইমরানের ঘরটিকে ঘেরাও করে মোস্তাককে উদ্ধার করে।
এমতাবস্তায় ইমরান পালিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে অবহিত করলে রাত ১১টায় পুলিশ এসে ঘরের ভেতর ব্যাংকারে অভিযান চালিয়ে সৌরভ নামে এক দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করে। পরে সেখান থেকে ছুরি, চাইনিজ কুড়াল, ইলেকট্রনিক টর্চারসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে।
অপহৃত ব্যবসায়ী মোস্তাক আহাম্মদ বলেন, বাড়ির গেইটে ঢুকা মাত্র চাচা ইমরানসহ তিনজন তাকে গলা চেপে ধরে নিয়ে যায় তার ঘরে। সেখানে টর্চার সেলে নিয়ে তার গলায় ছুরি দরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে ইমরান। এ সময় এমরানের ভাড়াটে সন্ত্রাসী সোহরাব খান সৌরভ আরো একটি ছুরি ধরে বলেন সে ১৮টি খুন করেছে। এ খুনটি নিয়ে ১৯টি খুন হবে। তোর ভাইকে বল তাড়াতাড়ি ১০লাখ টাকা পৌছে দিতে। নতুবা দুই মিনিটের মধ্যে তোকে খুন করে ফেলব।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন,ব্যবসায়ী মোস্তাক আহাম্মদকে অপহরনের ঘটনায় ইমরান হোসেনকে প্রধান আসামী করে তিনজনের নামে অপরহরন ও মুক্তিপণ দাবীর মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Posted ১:২৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম


