মো:দ্বীন ইসলাম খাঁন (ষ্টাফরিপোর্টার)#
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “আখাউড়া মিনি কক্সবাজার” এ নজর কাড়া দৃশ্য দেখতে পড়ন্ত বিকেলে তিতাস পাড়ের মিনি কক্সবাজার থেকে শীতল বাতাসের পরশ অনুভব করতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত তিতাস পাড়ের আখাউড়া মিনি কক্সবাজার। পরিবার-পরিজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে “আখাউড়া মিনি কক্সবাজার” ঘুরে-ফিরে আনন্দ উপভোগ করছেন নানা বয়সের মানুষ।
সরেজমিনে ঈদের দিন বিকেল থেকে ঈদের ৩য় দিন বিকেল পর্যন্ত সেখানে গেলে ” আখাউড়া মিনি কক্সবাজার” কোড্ডা বাইপাসের এ স্থানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। আখাউড়ার আশ-পাশ সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে নানা বয়সী শতশত দর্শণার্থী ছুটে এসেছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য।
তিতাস ব্রীজের নিচে থেকে অনেকেই ইঞ্জিন নৌকা আবার কেউ কেউ স্পীড বোড নিয়ে তিতাসের বুকে ঘুরতে যাচ্ছেন।
এদিকে, দর্শণার্থীদের কেন্দ্র করে জমজমাট এখানকার শরবত, বুট,বাদাম, চা-স্টল ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া মসজীদ থেকে আসা রাজীব চৌধূরী জানান, ‘ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি, এখানকার পরিবেশ যে কারোরই মন ভুলাবে, মিসেস রাজীব বলেন এমনিতে তেমন একটা বেড়োনো হয়না আজ বেবীর জন্মদিন উপলক্ষে বেরোতে পেরেছি, এখানকার পরিবেশটা খুবই সুন্দর, দক্ষিণা বাতাসে মন ভূলে যায় আপন ঠিকানায়।
সৌদী আরব প্রবাসী নূর মোহাম্মাদ বলেন প্রবাস থেকে প্রায় এ জায়গার অনেক সুনাম শোনতাম, ফেজবুকের মাধ্যমে এ জায়গার সব কিছুই অনুভব করতাম,তায় এবার ছুটিতে বেড়াতে চলে আসলাম।
দেবগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা জারির হোসেন খান বিমান জানান, ‘এখানকার পরিবেশ-প্রকৃতি এবং রূপলাবণ্যতা পর্যটকদের প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে। এই মুগ্ধতাই তাদেরকে এখানে বার বার নিয়ে আসে, সরকারের কাছে তিনি দাবী জানান যেন এই তিতাস পাড়ের আখাউড়া মিনি কক্সবাজার নামক জায়গাটিকে পর্যটকদের সুবিধার্থে পর্যবেক্ষন করা হয়, এবং পর্যটকদের জন্য যেন এখানে আরো সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ গড়ে তোলা হয়।