
| সোমবার, ১৩ আগস্ট ২০১৮ | 817 বার পঠিত | প্রিন্ট
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি কোনও সময় নির্ধারণ করে দেবো না। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এটা খুব কঠিন হয়ে গেছে এখন।’ সোমবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য আমরা প্রকাশ করলে খুনিরা তথ্য জেনে যাবে। সেক্ষেত্রে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে। সেক্ষেত্রে আমরা যে তথ্যের ভিত্তিকে এগিয়ে যাচ্ছি, সেই তথ্য আর সঠিক থাকবে না। সেজন্য আমি সব প্রশ্নের জবাব দেবো না।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা নানা উদ্যোগ নেই। ততদিনে রাশেদ চৌধুরী আইনিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছেন। সেজন্য আমাদের আবার নতুন করে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। আলাপ-আলোচনা যেটা চলছে তা ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি। তবে সময় বেঁধে দিতে পারবো না। কারণ সেদেশে নতুন প্রশাসন এসেছে, তারা তাদের বিভিন্ন প্রায়োরিটিস নিয়ে ব্যস্ত আছে। এটা প্রশাসনের আলাপ-আলোচনার ব্যাপার বিষয়।
’উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে খুন হন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর ছয় দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। এরমধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র ও নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে। এছাড়া শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ, মুসলেহ উদ্দীন রিসালদার ও ক্যাপ্টেন মাজেদ বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেভাবে কাজ চলছে। যে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমার মনে হয় অগ্রগতি খুব সম্ভব পেয়ে যাবো।’ তিনি বলেন, ‘নূর চৌধুরীর ব্যাপারটা আপনারা জানেন।কানাডায় একটা আইন আছে, যদি কোনও দেশে মৃত্যুদণ্ড থাকে এবং সেই দেশে মৃত্যুদণ্ড সাজা পেতে পারে এমন কোনও আসামিকে তারা ডিপোর্ট করে না। একদিকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আরেকদিকে এটা কতটা হেনিয়াস ক্রাইম সেটা আমরা কানাডিয়ান নতুন সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীও সেটা উত্থাপন করেছিলেন ও আলাপ-আলোচনা হয়েছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকারটা অতটা না, কানাডারটা কঠিন হয়ে গেছে। সেজন্যই আমরা অনেক রকম পন্থা অবলম্বন করছি। আইনি পন্থা, আলাপ-আলোচনার পন্থা, এগুলো চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘অগ্রগতি না হলে তো আলোচনা বন্ধ হয়ে যেত। অগ্রগতি আমি এখন জানাতে চাই না। কথা হচ্ছে, আমি তখনই জানাতে চাই, যখন তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়ে যাবে।’ এ বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
Posted ৩:২২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ আগস্ট ২০১৮
Akhaurar Alo 24 | আখাউড়ার আলো ২৪ ডেস্ক