
| সোমবার, ২১ মে ২০১৮ | 1212 বার পঠিত | প্রিন্ট
মো: আনিছুর রহমান# ত্রিপুরার পাহাড়ী ঢলের তোড়ে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ভারত ত্রিপুরারাজ্যের পাহাড়ি ঢলের পানি হাওড়ানদীর বাধ দিয়ে প্রবেশ করে মোগড়া, আখাউড়া দক্ষিন ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ফসলী জমি, নিচু বাড়িঘর আর রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পাড় ডুবে অনেক পুকুরের মাছ ভেসেগেছে। মনিয়ন্দের কর্নেলবাজার এলাকায় হাওড়ানদীর বাধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে। হাওড়ানদীর পানি বিপদসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে।
যে কোনো মুর্হুতে মনিয়ন্দের এলাকার সব বাধ ভেঙ্গে বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান কামাল ভুইয়া জানিয়েছেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ আর ভারত ত্রিপুরারাজ্যের পাহাড়ী ঢলের পানি হওড়ানদীর ভাঙ্গাবাধ দিয়ে প্রবেশ করে দরুইন-নোয়াপাড়া সংযোগ সড়কসহ দরুইন, বচিয়ারা, বাগানবাড়ি, নোয়াপাড়া, নিলাখাদ, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা ও চরনারায়নপুর গ্রামের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। নিচু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় পুকুর পাড় ডুবে মাছ ভেসেগেছে। কিছু জায়গায় পাকা ধান পানিতে ডুবে গেছে। চরনারায়নপুর রাস্তাঘাট পানিতে ধসেগেছে। এ ব্যাপারে আখাউড়া মোগড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনির হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো তিনি ঘুরে দেখেছেন। দরুইন-নোয়াপাড়া সংযোগ সড়ক ধসে প্রায় দুই হাজার মানুষ বন্দি দশায় পড়েছে।
অপরদিকে হাওড়ানদীর বাধ দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার কিছু গ্রামে ভারতের ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করায় কৃষকরা পাকা ধান কাটতে পারছে না। নিচু কিছু বাড়িঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। আব্দুল্লাহপুর, কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, সাহেবনগর, ধলেশ্বর এলাকায় পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের অফিস পানিতে তলিয়েগেছে। মনিয়ন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: কামাল ভুইয়া জানিয়েছেন, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্ণেল বাজার শান্তিপুর দিয়ে হাওড়াবাধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে।
এভাবে পানিতে আসতে থাকলে আজ রাতেই নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। এ ছাড়া মনিয়ন্দে বিভিন্ন স্থানে হাওড়ানদীর বাধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। বিপদসীমায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সব জায়গায় বাধ ভেঙ্গে গেলে ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলো বন্যা কবলিত হয়ে মানুষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান জানান, তিনি সীমান্তবর্তী নিম্ন এলাকাগুলো পরির্দশনে বের হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দেখে সরকারী ভাবে সহযোগীতার ঘোষনাও দিয়েছেন তিনি।
Posted ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২১ মে ২০১৮
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |