
| সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮ | 1161 বার পঠিত | প্রিন্ট
ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের পদাভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক, যা বঙ্গোপসাগর এর পাশ দিয়ে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত।এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। ইতিপূর্বে এখনকার প্রায় সহস্রাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজগুলোতে ৮০ শতাংশ’ই ঈদের আগেই বুকিং করা হয়ে গেছে। সৈকত নগরী কক্সবাজারে ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটি কাটাতে সবাই ছুটছেন এই সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে। অনেকেই এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য। আবার কেউবা এসেছেন ছুটি নিয়ে দীর্ঘ কর্ম জীবনের ক্লান্তি কাটাতে।পর্যটকরা বলেন, পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পাস করতে ভালো লাগে। এখানে আসলে বাচ্চারা খুব খুশি। পরিবারের সবাই মিলে প্রতিবছরই এখানে আসার চেষ্টা করি।তবে শিশুদের আনন্দ কিছুটা ব্যতিক্রম। কেউ পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে, কেউবা চড়ছে ওয়াটার বাইকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।কক্সবাজার সৈকত এলাকায় সোমবার (১৮ জুন) দিনে জোয়ারের সময় ছিল সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা। মূলত এ সময়ে পর্যটকদের পানিতে নামতে উৎসাহিত করা হয়। ছয়টি পয়েন্টে ভিড় জমতে শুরু করে পর্যটকরা ভোর থেকেই কক্সবাজার সৈকতে। জোয়ারের পাশাপাশি ভাটাতেও পানিতে আনন্দ মেতেছিল ভ্রমণ পিয়াসীরা। লাখো পর্যটকের ভিড়ে থেকে যায় দুর্ঘটনা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা আশঙ্কা। আর তাই প্রস্তুত রয়েছে লাইফ গার্ড এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নওরিন বলেন, পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পাস করতে ভালো লাগে।“স্বামী, বাচ্চা, বোন-বোনের স্বামী সবাই মিলে কক্সবাজারে চলে আসলাম। এখানে ঈদের ছুটিটা ভালোভাবে কাটানো যায়। সবাই মিলে আনন্দ করছি।”তাই পরিবারের সবাই মিলে প্রতিবছর এখানে আসার চেষ্টা করি।
সি-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ সিফাত বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বহু পর্যটক আসবে এটা স্বাভাবিক। এখন বর্ষা মৌসুম, তাই সাগর উত্তাল রয়েছে। সেটা বিবেচনা করে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তা দিতে চারটি পয়েন্টে অর্ধ-শতাধিক লাইফ গার্ড নিয়োজিত রয়েছে। তারা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে।
কলাতলী জোন কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছে লক্ষাধিক পর্যটক। তারা কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ছাড়াও হিমছড়ি এবং ইনানী সমুদ্র সৈকতে স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটকদের জন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সর্বদা আমাদের টিম এখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।’এখনো পর্যন্ত কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।প্রশাসন সবসময় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষভাবে নজরদারী রয়েছে।ট্যুরিস্ট পুলিশের সৈকতের কলাতলী, সি-ইন, লাবণী ও ডায়বেটিক পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি টহল টিমও চারটি পয়েন্টে রয়েছে। হোটেল মোটেল জোনেও বিশেষ নিরাপত্তা রয়েছে। ফলে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে কক্সবাজার ভ্রমণ করছেন।
Posted ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮
Akhaurar Alo 24 | আখাউড়ার আলো ২৪ ডেস্ক
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |