
| বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০ | 628 বার পঠিত | প্রিন্ট
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আমন ধানে পাতা মোড়ানো (বিএলবি) রোগে শত শত বিঘা জমির ধান মরে গেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শেও রক্ষা করা যাচ্ছে না ধান পাতা মোড়ানো রোগ থেকে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ও নির্দেশনা চেয়েছেন তারা।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৮ হাজার ১৯৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, বিআর-১১, বিআর-২২, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫৬, ব্রি-৭২, ব্রি-৭৫, গাঞ্জিয়া, নাজিরশাইল ও আতবসহ বিভিন্ন প্রজাতের ধান। প্রায় ১৫ দিন আগে হঠাৎ করে বামনডাঙ্গা, তারাপুর, বেলকা, সর্বানন্দ ইউনিয়নে আমন ধান গাছের পাতা হলুদ হওয়া অর্থাৎ পাতা মোড়ানো (বিএলবি) রোগ দেখা দেয়। পাতা হলুদ হওয়া দেখা দেয়ার ৫ দিন থেকে ৮ দিনের মধ্যে জমির সব ধান মরে যাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন জমি এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত ধানগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, ব্রি-৪৯ এবং কাটারিভোগ জাতের।
কৃষকরা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে রক্ষা করতে পারছেনা ধানের জমি। উপজেলার কৃষকদের আয়ের উৎস ধান থেকে। ধানের টাকা দিয়েই সংসারের খরচ জোগান তারা। সেই ধান পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দেয়ায় কৃষকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮ ইউনিয়নে আমন ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে মারা যাওয়ায় কোনোভাবেই ধান রক্ষা করতে পারছেন না কৃষকরা।
সর্বানন্দ ইউনিয়নের বাছহাটী গ্রামের কৃষক সুমন মন্ডল জানান, ৭ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। আড়াই বিঘা জমির ধানে পাতা মোড়ানো রোগে ধানের পাতা হলুদ হয়ে মরে গেছে। কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতাদের থেকে পরামর্শ নিয়েও রক্ষা করতে পারছি না জমির ধান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, উপজেলায় রোপা আমন ধানে কিছু এলাকার জমিতে ধানের পাতা হলুদ হয়ে গিয়েছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আক্রান্ত ধান গাছগুলো আবারো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে আক্রান্ত ধান গাছগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতে।
Posted ১:৩৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম