
| সোমবার, ০৪ জুন ২০১৮ | 9910 বার পঠিত | প্রিন্ট
‘সৃষ্টিকর্তা চাইলে আমিও মন্ত্রী হবো। স্বপ্ন দেখতে হবে না! আমি যদি স্বপ্নটাই না দেখি তবে আমি তো সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটতে পারবো না।’ এ কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া বলেছেন, ‘যে কোনো কাজে সফলতা পাবার জন্য তিনটি জিনিস খুব জরুরী। প্রথমত, সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত পিতা মাতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং তাঁদের সেবা করতে হবে। এবং সর্বশেষ যেটা করতে হবে নিজের শতভাগ দিয়ে সেই লক্ষ্যের পিছনে ছুটতে হবে।’ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মর্গ্যান গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দিতে গেলে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তিনিও আমাদের মতোই প্রশাসক ছিলেন। এইচ.টি. ইমাম, তিনি এই নারায়ণগঞ্জের এসডিও ছিলেন। কিংবা মান্নান স্যার তিনিও একজন এডমিনিস্ট্রেটর ছিলেন। সো আমি কেনো নয়। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আমিও মন্ত্রী হবো।’তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষাজীবন হচ্ছে আমাদের প্রথম ইনিংস, যখন সেটা শেষ হয় তখন আমাদের চাকুরী জীবন বা প্রফেশনাল লাইফ অর্থাৎ দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়। আর জীবনের তৃতীয় ইনিংসটা একটু কঠিন সেটা সকলে খেলতে পারেন না যেটা আমাদের তৌফিক এলাহী স্যার, আব্দুল মান্নান স্যার, আবুল মাল আব্দুল মুহিত স্যার কিংবা এইচ.টি. ইমাম স্যার খেলেছেন বা এখনও খেলছেন। তাদের সঙ্গে অনেকেই চাকরী করেছেন যারা মারা গেছেন বা বুড়ো হয়ে গেছেন। তো সৃষ্টিকর্তা কাকে কোথায় নিয়ে যান সেটা তিনিই জানেন।’ ‘আপনি কী আপনার জীবনের তৃতীয় ইনিংসটি খেলবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কিংবা তৃতীয় ইনিংসটি খেলাবার জন্যে নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করার কথা ভাবছেন? প্রেস নারায়ণগঞ্জের প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া বলেন, ‘আমি এখনি তৃতীয় ইনিংসটির ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেই নি। তবে সেই ইনিংটির জন্যে নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা অবশ্যই করবো।’ স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরা কেনো এসেছো তা আমি জানি। আমি আমার জায়গা থেকে কী করা যায় দেখছি। এই আমার সামনে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি একজন মেজিস্ট্রেট। তোমাদের মধ্যে যদি কারো অপরাধ তার চোখে ধরা পরে তবে তিনি চাইলেই তাকে দু বছরের জেল দিয়ে দিতে পারেন। কোনো সাক্ষী প্রমাণ লাগবে না। অথচ আমার কাছে আসলেই নীরব। এডমিনিস্টেটর… প্রশাসক। একজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শুধুই একজন শিক্ষক নন তিনিও একজন প্রশাসক। আর যখন তিনি একজন প্রশাসক হবেন তখন তাকে তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর তুমি যদি তোমার আগেগগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারো তবে তুমি একজন ভালো প্রশাসক হয়ে উঠতে পারবে না।’
Posted ৬:১০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ জুন ২০১৮
Akhaurar Alo 24 | আখাউড়ার আলো ২৪ ডেস্ক