
| বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | 1959 বার পঠিত | প্রিন্ট
সূত্র:জাগোনিওজ
দুই বছর আগে ‘অবৈধভাবে’ চেয়ার দখলের পর অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন হিসেবে যোগ দিচ্ছেন আলোচিত ডা. মো. শাহ আলম। মঙ্গলবার তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হিসেবে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির সুপারিশ নিয়েই শাহ আলম সিভিল সার্জন হয়েছেন বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।
শাহ আলম সর্বশেষ খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছিলেন। তবে খাগড়াছড়ি থাকলেও তার নজর ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের চেয়ারে। এখনও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের বাসভবনের একটি কক্ষ নিজের দখলে রেখেছেন। যদিও সেটির ভাড়া তিনি পরিশোধ করেন। ছুটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলেই তিনি বেশিরভাগ সময় আখাউড়ায় অবস্থান করতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হিসেবে ডা. আবু ছালেহ মো. মুসা খানকে চলতি দায়িত্বের আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছিলেন মুসা খান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে ৩১ ডিসেম্বর মুসা খানকে যোগদান করার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের দায়িত্বে থাকা আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ আলম যোগদান করতে দেননি।
জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের নির্দেশে শাহ আলম ‘অবৈধভাবে’ সিভিল সার্জনের চেয়ার দখল করে রেখেছিলেন বলে তখন অভিযোগ করেছিলেন মুসা খান। যদিও নিয়ম অনুযায়ী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারই ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের দায়িত্ব নেয়ার কথা। কিন্তু তৎকালীন বিদায়ী সিভিল সার্জন ডা. হাসিনা আক্তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন শাহ আলমের কাছে। এরপর থেকেই সিভিল সার্জনের চেয়ার নিয়ে নাটকীয়তা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি ‘স্বাচিপ নেতাদের কাছে উপেক্ষিত মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন’ শিরোনামে জাগো নিউজেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে স্বাচিপ নেতাদের বিরোধিতার কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পূর্বের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ডা. নিশিত নন্দী মজুমদারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন এবং মুসা খানকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করে নতুন আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নিশিত নন্দী মজুমদারের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তিনি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুম ইফতেখারকে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন শাহ আলম।
সূত্র:জাগোনিওজ
Posted ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Akhaurar Alo 24 | আখাউড়ার আলো ২৪ ডেস্ক
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |