
মো:সাইফুল ইসলাম | সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১ | 585 বার পঠিত | প্রিন্ট
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে দুবাই প্রবাসী সুহেল মিয়ার ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমানা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এসময় বর ও কনে পক্ষকে বাল্য বিয়ে আয়োজন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।কনে নূরপুর-রুটি আব্দুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী এবং বর একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা গেছে,আজ সোমবার দুপুরে রুটি গ্রামের প্রবাসী সুহেল মিয়ার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে জুনায়েদ বাবু বিয়ের আয়োজন করা হয়।বেলা দেড়টার দিকে বর নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন বরপক্ষের অর্ধশত লোক। বরযাত্রীদের খাবার টেবিলে বসানো হয় ভুরিভূজের জন্য। বিয়ে বাড়িতে তখন এক আনন্দঘন মুহুর্ত।
এমন সময় খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুমানা আক্তার।পরে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলমের উপস্থিতিতে বর-কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে বয়স না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন।বর-কনের সঠিক বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন তাদের অভিভাবকরা।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, লকডাউনের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল খবর পেয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সত্যতা পাই। বরপক্ষের উপস্থিতিতে খাবারের আয়োজন করা হয়। বিয়ে হওয়া বাকী ছিল। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বর-কনে পক্ষকে বুঝিয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে হবে এই মর্মে তারা মুচলেকা দেয়। উভয় পক্ষকে বাল্য বিবাহ আইন ২০১৭-১৮ মোতাবেক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামসহ ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৫:৫৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম