
| সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | 391 বার পঠিত | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট:
একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করার পর দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে। বন্ধ করা হয়েছে টেলিফোন-ইন্টারনেটসহ সবধরণের যোগাযোগ মাধ্যম।
মিয়ানমারে নতুন মেয়াদে পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরুর কথা ছিলো পহেলা ফেব্রুয়ারি। কিন্তু শেষ নির্বাচনের পর বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর উত্তেজনা বাড়তে থাকায় সোমবার ভোররাতেই সরকার প্রধান অং সান সুচি এবং দেশটির প্রেসিডেন্টকে আটক করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিতের আহ্বান জানানো হয়।
এসময় মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। একইসাথে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সেনা টহল জোরদারের পাশাপাশি টেলিফোন-ইন্টারনেটসহ টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে।
২০১১ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরুর আগ পর্যন্ত মিয়ানমার বেশিরভাগ সময়ই ছিলো সেনাবাহিনীর শাসনে। সেসময় দীর্ঘকাল গৃহবন্দীও থাকেন সু চি। সেই অবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অহিংস লড়াইয়ের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। এরপর তার দল এনএলডি জনপ্রিয়তা পেলে ২০১০ সালে মুক্তি পান সু চি।
২০১২ সালের উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয় সু চির দল। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। তবে তার শাসনকালে, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের সময় সুচির নিষ্প্রভ ভুমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচিত হয়।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে সুচি সহিংসতার উল্লেখ করলেও গণহত্যার কথা স্বীকার করেননি। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তার সরকারের দীর্ঘদিন অনাগ্রহের নিন্দাও হয় বিশ্বজুড়ে। দাবি উঠে সুচির নোবেল প্রত্যাখ্যানের।
সবশেষ গত নভেম্বরে দেশটির নির্বাচনে আবারো এনএলডি ক্ষমতায় আসলে সামরিক বাহিনী সঙ্গে বিরোধ বাড়তে থাকে। নতুন সরকারের প্রথমে অধিবেশনের আগমুহুর্তেই অভূত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা নিলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
Posted ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম