মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের লাইন ফি এক হাজার টাকা?

  |   মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮ | 2103 বার পঠিত | প্রিন্ট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের লাইন ফি এক হাজার টাকা?

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের লাইন ফি এক হাজার টাকা? লাইন ফি দিলে দাঁড়াতে হয়না লাইনে। লাগেনা তেমন কিছুই। না হলেই কেবল এখানে সমস্যা, ওখানে ভুল এমন সব নানান ত্রুটি তুলে ধরেন গ্রাহকদের সামনে। এসব অভিযোগ নিত্যনৈমিত্তিক কার্যাদিতে পরিনত হয়েছে পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে। দালাল ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে সরাসরি খুব একটা সেবা মিলছে না সাধারণ গ্রাহকদের। পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন স্টাফের নামও রয়েছে দালালদের দীর্ঘ এ তালিকায়। তাদের হাত ধরেই পাসপোর্ট করছেন অনেকে।

পাসপোর্ট অফিসের ৫০ গজ দূরত্বের মধ্যে চোখে পড়ে দালালদের দৌরাত্ম্য। এসব দালালরা রীতিমতো ঘর ভাড়া নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সাব-অফিস খুলে বসেছেন।


সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল আমিন, আফজল, কেফায়েত, শামসু, জহির, আদনান ও খোকন নামের কয়েকজন পাসপোর্ট দালালির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এর মধ্যে আল আমিন, আফজল, শামসু প্রকল্পের অধীনে পাসপোর্ট অফিসে চাকরিরত। বাকিরা আগে চাকরি করতেন, এখন চাকরি ছেড়ে দিয়ে অফিসের ভেতরে বসেই দালালি শুরু করেছেন।

এসব দালালদের মাথার উপর ছায়া হয়ে আছেন পাসপোর্ট অফিসের এক স্টাফ ইকবাল হোসেন। তার সঙ্গেই সব দালালদের যোগাযোগ।


পাসপোর্ট করতে আসা কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাদের একজন বিজয়নগর উপজেলার সাইফুল।

তিনি জানান, পাসপোর্ট অফিসের এক লোকের সঙ্গে কথা হয়েছে। ৯ হাজার টাকা চুক্তিতে তিনি পাসপোর্ট করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। অফিসের এই লোক ১৫ দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট এনে দিতে পারবেন। তবে ওই লোকের নাম প্রকাশ করেননি সাইফুল।


এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি এ পাসপোর্ট অফিসটির বাইরেও রয়েছে আরো অনেক ‘কথিত’ পাসপোর্ট অফিস। এসব অফিসে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসছেন তাদের পাসপোর্ট করার জন্য।

জেলা সদরের কুমারশীল মোড়স্থ আমিন কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলায়ও রয়েছে পাসপোর্টের এমন একটি অফিস। এ অফিসে প্রতিদিন একশ’র বেশি মানুষ আসেন পাসপোর্ট করার জন্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপোর্ট লিমিটেড নামের ওই অফিসের স্বত্তাধিকারী হেলাল নামের এক ব্যক্তি।

এছাড়াও শহরের মসজিদ রোডের সিয়াম টেলিকমের স্বত্তাধিকারী জুয়েল, একই রোডের চাপাতা ব্যবসায়ী ফেলুও পাসপোর্টের বড় দালাল। তাদের এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই পাসপোর্ট অফিস হিসেবে পরিচিত। এ দুইজনসহ তিন দালালকে কয়েক বছর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েকশ পাসপোর্টসহ আটক করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রয়েছে এ ধরনের পাসপোর্ট অফিস।

২৫ দিনে যে পাসপোর্ট দেয়া হয় তার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৩ হাজার ৪৫০ টাকা এবং জরুরি ১০ দিনের জন্য নির্ধারিত ফি ৬ হাজার ৯০০ টাকা। তবে দালালরা একটি পাসপোর্ট করতে দ্বিগুন থেকে তিনগুন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে। এমন অভিযোগ অহরহ।

সাধারণ সময়ের একটি পাসপোর্ট করার জন্য দালালরা ৫ হাজার ৭শ এবং জরুরি হলে ৯ হাজার ৩শ টাকা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ১ হাজার করে ২ হাজার টাকা রয়েছে।

প্রতিদিন আঞ্চালিক পাসপোর্ট অফিসে দুই থেকে আড়াইশ পাসপোর্ট করা হয়। এর বেশিরভাগই আসে দালালদের মাধ্যমে। দালালরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অফিসকে দেয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। সে হিসেবে প্রতিদিন আড়াই লাখ টাকা উঠছে শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চালিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক জামাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হয় না। তাছাড়া অফিসের ভেতর কোনো দালাল নেই বলেও দাবি করেন তিনি। সুএ সময় নিওজ

Facebook Comments Box

Posted ১:১৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮

Akhaurar Alo 24 |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
মোঃ সাইফুল ইসলাম সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

E-mail: info@akhauraralo24.com