
| সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০ | 635 বার পঠিত | প্রিন্ট
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি:
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা ঘোষণা পর থেকে নামসর্বস্ব কিছু কোম্পানি, দালাল, ব্যাক্তি ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ইমু, হোয়াটস অ্যাপ কে প্রতারণার মূল মন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।গত ১৬ ই নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা / রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে চক্রটি সক্রিয় অনলাইনে। পাসপোর্ট ও ভিসার করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন গ্রুপে ও কমেন্ট বক্সে চলছে ওপেন প্রচারণা। অতীতে ও এই ধরনের কর্মসূচির সময় চক্রটির ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছে হাজার হাজার প্রবাসী।
নবাগত ডেপুটি হাইকমিশনার ( ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর সাথে “বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অফ মালয়েশিয়া ” সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি হাই কমিশনার বলেন কোন মালিক বা কোম্পানির প্রতি সন্দেহ থাকলে হাই কমিশন থেকে যাচাই করে নিতে বলেন।না জেনে না বুজে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলেন। আমাদের প্রতিনিধি এম এ আবির বলেন অনলাইন প্রতারণার কারণে সাধারণ প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাংলাদেশ দূতাবাস কোন পদক্ষেপ নিবে কি ? প্রশ্নের জবাবে শ্রম কাউন্সিলর জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন অনলাইনে প্রতারণার বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা আইনি পদক্ষেপ নিব। অতীতে ও এই ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে দূতাবাস আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। বিডি প্রেসক্লাবের উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের বলেন এই ধরনের প্রতারণা গুলো তুলে ধরুন এবং আমাদের কে অবহিত করুন। দূতাবাস চাইনা সাধারণ প্রবাসীরা প্রতারণার শিকার হউক।
পরবর্তীতে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ভেরিফাই পেইজে সচেতনতা মূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যা খুবখুব তুলে ধরা হল ।
১। রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো ন্যূনতম ১৮ মাসের মেয়াদ সম্বলিত পাসপোর্ট। এই কর্মসূচিতে অংশগহণ করতে ইচ্ছুক অনিয়মিতভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের শেষ সময়ের তাড়াহুরা এড়াতে দ্রুততার সাথে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন ডাকযোগে হাইকমিশনে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। হাইকমিশন বিশেষ ব্যবস্থায় আপনাদের কাছে পাসপোর্ট পৌছে দেবার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং এই প্রক্রিয়া আরো উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে যা আপনাদেরকে শীঘ্রই অবহিত করা হবে।
২। রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক কর্মীদের মধ্যে যাদের নিজের কোন উপযুক্ত মালিক (Sponsor) বা নিয়োগকারী কোম্পানি নাই তারা নামসর্বস্ব বা ভুঁইফোড় কোন কোম্পানিতে নিবন্ধিত হবেন না। ‘ফ্রি ভিসা’র নামে এক কোম্পানীতে ভিসা করে অন্যকোথাও কাজ করবেন এ ধরণের প্রলোভনে না পড়ে এই সমস্ত ক্ষেত্রে হাইকমিশনের গাইডলাইন মেনে চলুন। কোন মালিক বা কোম্পানি সম্পর্কে অস্পষ্টতা বা সন্দেহ থাকলে এদের সম্পর্কে তথ্যাদি হাইকমিশন হতে যাচাই করে নিতে পারেন।
৩। রিক্যালিব্রেশন কর্মসুচি নিয়ে সহসাই হাইকমিশন হতে বিস্তারিত গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে এই গাইডলাইন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত যে কোন সিদ্ধান্ত বিশেষ করে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
Posted ৬:০২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম