
| শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ | 688 বার পঠিত | প্রিন্ট
আখাউড়া প্রতিনিধি:
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনকে এক লক্ষ টাকা না দেওয়ায় আখাউড়ায় নাজমা বেগম নামে এক নারীকে মাদক মামলায় মিথ্যা আসামী করেছে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগি পরিবারের।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় আখাউড়া পৌরশহরের দূর্গাপুর গ্রামের নাজমা বেগমের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজমা বেগমের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা ইসলাম মিতু বলেন, ২৪ আগষ্ট সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাদা পোশাকে চার থেকে পাঁচজন লোক জোর করে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় আমার মা বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে আমি ও আমার এক বোন ছিলাম। ওই লোকজন নিজেদেরকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক বলে পরিচয় দেন। তারা আমার মাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে আমাদের ঘরে তল্লাশী শুরু করে এবং আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। আমি তখন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. তাজুল ইসলাম ভূইয়া ও আশে পাশের বাড়ির লোকজনকে ডেকে আনি। ঘন্টাখানেক তল্লাশী করে আমাদের ঘরে কোন মাদক দ্রব্য পায়নি।
পরে সকলের উপস্থিতিতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন একটি জব্ধ তালিকা করে। সেই তালিকায় আমাদের বসত ঘরে কোন মাদক দ্রব্য পাওয়া যাইনি বলে উল্লেখ করে। আমি মোবাইল ফোনে জব্ধ তালিকার ছবি তুলে রাখি। মিতু অভিযোগ করেন, লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে সহকারী উপ পরিদর্শক মো: হুমায়ুন কবির আমার কাছে এক লক্ষ টাকা দাবী করেন। তার মোবাইল ফোন নম্বার দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। টাকা না দিলে মাদক মামলায় আমার মাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নাজমা বেগম বলেন আমি কখনও মাদক ব্যবসা করিনি। আমার নামে থানায় কোন মামলা নাই।
কিন্তু পরদিন ২৫ আগষ্ট মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মু: মিজানুর রহমান আখাউড়া থানায় একটি মাদক মামলা করেন। সেই মামলায় নাজমা বেগমকে ২নং আসামী করা হয়েছে। টাকা না দেওয়ায় সাজানো মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পৌর কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, নাজমা বেগম কখনও মাদক বিক্রি করে বলে আমি শুনিনি। তল্লাশীর সময় আমি উপস্থিত ছিলাম ওই সময় তার ঘর থেকে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্র নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: মিজানুর রহমান বলেন দূর্গাপুর এলাকা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ কালন মিয়া নামে এক চোরাকারবারীকে আটক করি। কালনের বক্তব্য এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নাজমা বেগমের বাড়ি তল্লাশী করা হয়। তবে নাজমা বেগমের বাড়িতে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। কিন্তু নাজমা বেগম দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে। মামলার ১নং আসামী কালনের বক্তব্যে তাকে এই মামলা আসামী করা হয়েছে। তবে টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বিকার করেন।
Posted ২:১৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |