
| বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০১৯ | 973 বার পঠিত | প্রিন্ট
আশ্রাফুল মামুন#
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আখাউড়ায় বাল্য বিবাহ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মোঃ মঈনুদ্দিন নামে এক( বিবাহ নিবন্ধন) কাজী কে আটক করে দিনভর নাটক করে ছেড়ে দিলেন ইউএনও জনাবা তাহমিনা আক্তার রেইনা।
গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় ইউএনওর নির্দেশে আখাউড়া থানা পুলিশ তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করা হয়। পরে সারাদিন ইউএনও এর অফিস সহকারীর রুমে সারাদিন পুলিশ পাহারায় বসিয়ে রেখে সন্ধ্যার সময় অজ্ঞাত কারনে মোঃ মঈনুদ্দিন কে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
কাজী মোঃ মঈনুদ্দিন এর বাড়ী পার্শ্ববর্তী কসবা উপজেলার শিকারপুর গ্রামে, জানা গেছে তিনি আখাউড়া পৌরসভার কলেজে পাড়ায় থাকেন এবং উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বিবাহ নিবন্ধক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালন করার সময় বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে জম্মনিবন্ধন কারসাজির মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের বাল্যবিবাহের অভিযোগ উঠে।
এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড অফিসে ডেকে এনে কয়েকবার সতর্ক ও করা হয়। তারপর আবার বুধবার তার বাড়ীডে পুলিশ পাঠিয়ে নিকাহ নিবন্ধন রেজিষ্টার সহ আটক করে ইউএনও অফিসে দিনভর আলোচনা ও সমালোচনার পর নিকাহ রেজিষ্টার জব্দ করে তাকে ছেড়ে দেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করেন, কাজী মঈনউদ্দীন কে সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমান ছাড়া তাকে তার বাড়ী থেকে আটক করে কেন দিনভর আটকে রেখে হয়রানি করা হলো? এবং তার রেজিষ্টার জব্দ করা হলো, আর সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে যদি তাকে আটক করা হয় তাহলে তাকে কার নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কাজী মঈনউদ্দীন এর স্থায়ী বাড়ী কসবা হলেও তিনি আখাউড়া কলেজ পাড়া বাড়ী কিনে বসবাস করছেন। দক্ষিণ ইউনিয়নে তার স্থায়ী বাড়ী না থাকায় উক্ত ইউনিয়নের তিনি কিভাবে কাজী নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাবা তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, কাজী মঈনুউদ্দীন এর বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাকে আটক করি কিন্তু কাজী মোঃ মঈনুদ্দিন উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি হওয়ায় তাদের সংগঠনের অনুরোধে তার মুছলেকা রেখে সতর্ক করে ছেড়ে দেই।
কিন্তু তাকে ইতিমধ্যে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল এবং উপযুক্ত তথ্য উপাত্ত ছাড়া কেন পুলিশ দিয়ে আটক করে হয়রানি করে দেওয়া হলো আর যদি নিদিষ্ট প্রমানাদি থেকেই থাকে তাহলে কেন সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হলো এই প্রশ্ন করলে ইউএনও তাহমিনা আক্তার রেইনা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
Posted ১০:১০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০১৯
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম