
| মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | 488 বার পঠিত | প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টার:
ভাষার মাসের শুরুর দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভাষা সৈনিক সংবর্ধনা ও কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি সোমবার সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এ সময় ভাষা সৈনিক মিয়া মোহাম্মদ মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ নূর-এ- আলম ভাষা সৈনিক মিয়া মোহাম্মদ মতিনকে উত্তরী পরিয়ে দিয়ে সম্মানসূচক ক্রেস্ট হাতে তুলে দেন।
এ সময় মঞ্চ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, মৎস্য সম্পসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুন্নবী ভূঁইয়া,আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক জালাল হোসেন মামুন শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, শিল্পকলা একাডেমির সদস্য জুটন বনিক ও কাজি স্বপ্না শিফাত। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও অতিথিরা গান পরিবেশন ও একুশের কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে ভাষা সৈনিক মিয়া মোহাম্মদ মতিন স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘তখন আমি মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় শোনার পর আমরা আর স্থির থাকতে পারেনি। পরে আন্দোলন শুরু করি। তৎকালীন সময়ে এলাকায় আট জনের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করেছিলাম। মিছিলটি গঙ্গসাগর রেলস্টেশনসহ মোগড়াবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে আমাদের এই আন্দোলন এলাকায় গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। খবর পৌঁছে যায় তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের কাছে। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। প্রায় দুই মাস পর জেল থেকে ছাড়া পাই। জেল থেকে বের হয়েও সংঘবদ্ধ হয়ে ভাষার জন্য আন্দোলন ও সমাবেশ করি। ১৯৫৬ সালে সাহসিকতার জন্য আমিসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পুরস্কার দেন বঙ্গবন্ধু।
Posted ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম