
| সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১ | 485 বার পঠিত | প্রিন্ট
আখাউড়া প্রতিনিধি:
মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর মনোভাব সম্পর্কে সংশয়ের কোন অবকাশ নেই। তবে বাস্তবতা হলো, কঠোর শাস্তির আশঙ্কা থাকা সত্তে(stte) ও মাদক পাচারকারীরা বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপকর্ম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে কিছু কিছু মাদকের চালান আটক হলেও বেশিরভাগ পাচারকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
একটা সময় ছিলো যখন মাদক এতটা সহজলভ্য ছিল না। কিন্তু বর্তমান সমাজ পুরোপুরি ভিন্ন পর্যায়ে, যেখানে হাত বাড়ালেই মিলবে বিভিন্ন ধরণের মাদকদ্রব্য। খুব সহজেই প্রবেশ করা যায় মাদকের রাজ্যে। আর এই দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে যাচ্ছে আমাদের তরুণপ্রজন্ম। মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের যুবসমাজ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আখাউড়া উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর, চাঁনপুর, আনোয়ারপুর, দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোটকুড়িপাইকা, বড় কুড়িপাইকা,নূরপুর, হীরাপুর, আব্দুল্লাপুর এলাকায় মাদকের ছড়া-ছড়ি। যেখানে সেখানে মাদক জাতীয় ভারতীয় ফেন্সীডিল, স্কফ সিরাপ সহ বিভিন্ন মাদকের বোতল পড়ে আছে।এই গ্রামগুলিতে মাদক ব্যবসায়ীরা এতটাই প্রভাবশালী যে সাধারণ মানুষ এদের ভয়ে কথা বলে না, এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে মারধর করা হয়, বাড়িতে মাদক রেখে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো সহ রাতের আধারে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়, তাই এদের ভয়ে এলাকায় এত অপকর্ম হলেও কেউ প্রতিবাদ করে না।
মাদক আগ্রাসন রোধে মাদক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে নিজেদের বিবেক বিক্রি না করে দেশ ও জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে। রক্ষা করতে হবে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে আমাদের তারুণ্য।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন। আপনারা জানেন মাদকের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে, এই কাজের ক্ষেত্রে মাদক ব্যবহারকারী, মাদক সেবনকারী, মাদক বিক্রেতা, মাদক আমদানি কারক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। উত্তর উত্তর এই মামলা বৃদ্ধি পাচ্ছে যারা এই কাজের সাথে জড়িত। আমরা গত মাসের তুলনায় এই মাসে আরো মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যে চলমান প্রক্রিয়া, এটি চলতে থাকবে এবং জোরালো বেগে।এই ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা পৃষ্ট পুশকতায় যারা তাদেরকেও এই মাদকের আওতায় নিয়ে আসছি এই আইনের আওতায়, একি সাথে আমরা বলবো যে এটি একটি সম্মোলিত উদ্যোগ, এই উদ্যোগে যেমন আমরা যদি সীমান্ত কে আরো ভালো নজর দারির মধ্যে নিতে পারি আরো ভালো ফলাফল পাবো। একি সাথে আমরা বলবো যে যেটা এই মাদকের যারা কারবারি বা গডফাদার তাদেরকে আমরা লিষ্ট করে তাদের কে পৃষ্ট পুশকতার দায়ে তাদেরকে মামলায় সংযোগ করেছি।
Posted ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম