
| রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | 380 বার পঠিত | প্রিন্ট
আখাউড়া প্রতিনিধিঃ
হারিয়ে যাওয়া সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা তিন দিন পর চালকের সততায় ফিরে পেলেন টাকার মালিক।
আজ রোববার(২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া নিজ অফিসে টাকার মালিক রহিমা বেগমের কাছে টাকাগুলো তুলে দেন।
রহিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের মরহুম এনামুল হোসেনের স্ত্রী।জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে রহিমা বেগমসহ ৪জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি যোগে চিনাইর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। এসময় তাদের সাথে একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। কিন্তু সিএনজি থেকে নামার সময় ভুলে ব্যাগটি সিএনজিতে রেখে নেমে যান।
পরে সিএনজি চালক রামরাইলের মনির হোসেন শনিবার সকালে সীটের পেছনে অনেকগুলো ভর্তি একটি ব্যাগ পান। বিষয়টি তিনি তার ফুফুা বনগজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে জানান। সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো সিএনজি যাত্রী চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে তিনি বিষয়টি তাঁর আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়াকে জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া রোববার (২৭সেপ্টেম্বর) দুপুরে রহিমা বেগমের হাতে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়। টাকা পেয়ে রহিমা বেগম স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং সিএনজি চালককে ধন্যবাদ জানান।
সিএনজি চালক মনির হোসেন বলেন, যাত্রী নামিয়ে আমি বাড়িতে চলে যাই। পরদিন শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। শনিবার সকালে সিএনজি পরিস্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি পাই। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুশি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম,এম মালেক জানান,আমার শ্রমিক ১৪ লাখ টাকা পেয়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়ার মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের ফিরিয়ে দেওয়াতে আমি খুবই খুশি হয়েছি। আমি তার সততাকে ধন্যবাদ জানাই।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া বলেন, সিএনজি যাত্রী রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা সিএনজি ফেলে যায়। সিএনজি চালক আমাকে জানালে আমি প্রকৃত মালিক ডেনে এনে তার হাতে টাকাগুলো তুলে দিয়েছি।
Posted ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম