
| বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০ | 509 বার পঠিত | প্রিন্ট
বিশেষ প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ নয়টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আখাউড়া উপজেলাতেই ১৪ জন আক্রান্ত হন।
নবীনগরের একই পরিবারের ১২জন সহ ১৬ জনের পর আখাউড়া উপজেলাতেই করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেশি।
অথচ করোনা পরিস্থিতিতে আখাউড়াতে শুরু থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির অভিযোগ উঠে। এবার খোদ হাসপাতাল প্রধান চেক আনার কথা বলে দুই দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।
তিনি প্রতি সপ্তাহেই ঢাকার বাসায় চলে যান বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এবার ঢাকায় যেতে তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছেন, যেটি করোনা পরিস্থিতির সময় বরাদ্দ পাওয়া।
আখাউড়ায় একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) কে দিয়ে তরোনার নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দেয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নমুনা সংগ্রহে অনাগ্রহ প্রকাশ
করার পরও তার বিরুদ্ধে শুরুতে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় হাসপাতাল প্রধানের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠে।
এসব বিষয় জানতে চাইলে সাংবাদিকদের জানার
দরকার নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। এরপর থেকে তিনি সাংবাদিকদেরকে এড়িয়ে চলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রাশেদুর রহমান বুধবার সকালে সরকারি গাড়িতে করে ঢাকায় যান।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদেরকে তিনি বলে গেছেন,
ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা একটি ট্রেনিংয়ের চেক আনার জন্য তিনি ঢাকায় যাচ্ছেন। এছাড়া গাড়িতে কাজ করাবেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি আসবেন বলে
জানান। ইউএইচএফপিওই হাসাপাতালের প্রধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত কয়দিন ধরে আখাউড়া হাসপাতালের বহিবির্ভাগে রোগী বেড়ে গেছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহও করা হচ্ছে। গত দুইদিন গড়ে ১০০ এর বেশিরোগী এসেছেন। হাসপাতালে গড়ে ১৫ জনের মতো রোগী ভর্তি আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পাঁচজনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সব মিলিয়ে ব্যস্ততা
বেড়েছে হাসপাতালে কর্মরতদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে ডা.রাশেদুর রহমান আগেও ঢাকার বাসায় গেছেন। কোয়ারেন্টিন থেকে রক্ষা পেতে তিনি বিষয়টি চাপিয়ে যান। হাসপাতালে কর্মরতদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ আছে।
কিন্তু এ বিষয়ে তাঁরা মুখ খুলতে চাইছেন না।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘একটি জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন বলে আমাকে মৌখিকভাবে তিনি জানিয়ে গেছেন। ওনার বদলে আরেকজন সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন করছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি
বলেন, ‘২৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যোগদানের পর আমি কোথাও যেতে পারি নি।’
Posted ৩:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম