মো:সাইফুল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে পণ্যবাহী ট্রাক
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যেই চলছে স্থলবন্দরের রপ্তানি কার্যক্রম।করোনা ঝুকির মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী, বন্দর কতৃপক্ষ ও উপজেলা প্রসাশন।
ভারতের আগরতলা স্থলবন্দর কর্মকর্তারা পণ্যবাহী ট্রাক তাদের বন্দরে প্রবেশ করার পূর্বে অনেক সময় নিয়ে জীবানু নাশক স্প্রে করার পর বন্দরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়।যার কারণে দৈনিক ৩০-৩৫টির বেশি পণ্যবাহী ট্রাক রপ্তানির সুযোগ থাকেনা।
এদিকে স্থলবন্দরে রপ্তানির চেয়ে বেশি বেশী পণ্যবাহী গাড়ী আসার ফলে বন্দরের ভিতর চার থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হয় ড্রাইবার ও সহকারীদের।
এ অবস্থায় স্থলবন্দর এলাকা করোনা ঝুঁকিতে পড়ায় হেলথ ডেস্কের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ট্রাকচালক ও সহকারীদের তাপমাত্রা ও নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারা।
এছাড়াও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যবসায়ী,বন্দর কতৃপক্ষ ও উপজেলা প্রসাশন। তারা প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রতিদিন পাঁচটির বেশি ট্রাক বন্দরে না আনতে,ট্রাকচালক ও সহকারীরা স্থানীয় হোটেলে বসে ইফতার কিংবা সেহরি না করতে।সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে পরামর্শ দিচ্ছে তাছাড়া বন্দরে জীবাণু নাশক ছিটানু হচ্ছে এ ছাড়া বন্দরের ভিতর থাকাতে ড্রাইবার ও সহকারীদের জন্য বন্দরের ভিতর তাবু নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি অ্যাসোসিয়েশনর সাধারন সম্পাদক মো:সফিকুল ইসলাম জানান,করোনা ঝুঁকি কমাতে বন্দরে অবস্থানকারী ড্রাইবার ও সহযোগীরা যাতে বন্দরের বাইরে যেতে না হয় সেজন্য তিনটি অস্থায়ী টাবু নির্মান করা হয়েছে এবং তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক(ট্রাফিক) মোস্তাজিজুর রহমান জানান,ভারতীয় কতৃপক্ষ স্বল্প মাত্রায় গাড়ী আমদানি করার ফলে বন্দরের ভিতর গাড়ীর অবস্থান বেড়ে গেছে,সেজন্য সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে মাইকে করে বলা হচ্ছে বন্দরের ভিতর জীবানু নাশক ছিটানু হচ্ছে এবং তাদেরকে বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, রপ্তানি বাড়ায় অতিরিক্ত হারে ট্রাকচালক সহকারীদের বন্দরে অবস্থানের কথা জেনে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। চালক ও সহকারীদের মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় কিছু নিয়ম বেধে দেওয়া হয়েছে।এবং হেলথ ডেস্কের মাধ্যমে বন্দরে অবস্থান করা ড্রাইবার ও সহকারীদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।