আখাউড়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর বনিকপাড়ায় ৩৭ লক্ষ টাকার ড্রেন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের মালামাল ও ব্যাপক অনিয়মসহ রাস্তায় নির্মান সামগ্রী রাখায় মানুষের পথ চলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষের নিরবতা আর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্লাহ শহীদ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষের দাপটে চলছে এসব অনিয়ম। কাজের গুনগত মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে স্থানীয়রা প্রশ্ন তুল্লেও কোন প্রতিকার নেই। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা কারী ইকবাল মাষ্টার বলেছে কাজে কোন প্রকারম অনিয়ম হচ্ছে না।
খোজ নেয়ার সময় দেখাগেছে, আখাউড়া পৌরসভার বনিকপাড়া রাস্তার পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের ঢালাই কাজ কাদা পানির মিশ্রণে হচ্ছে। ডিজাইন অনুযায়ী নিচের ঢালাই, রাইন্ডিং করা হচ্ছে না। ডিজাইন অনুযায়ী ১৪ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্জি রড বাইন্ডিং করার কথা কিন্তু করা হচ্ছে ১৮ ইঞ্জি বাই ৯ ইঞ্জি। যেসব স্থানে ঢালাই করা হয়েছে সেইসব স্থান ঢালাই ছিদ্র হয়ে পানি বাইরে থেকে পানি ডুকছে। এছাড়াও ঢালাই কাজে মাটি কাদা মিশ্রিত পাথর, বালি দেয়া হচ্ছে। কাজের সিডিউল অনুযায়ী পাথর, বালি ও সিমেন্টের মিশ্রন করা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, কাজের তদারকীতে একজন ইঞ্জিনিয়ার থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে কেউ থাকছেনা। ঠিকাদারের লোকজনই কাজ করছে। এছাড়া ১০/১৫ ফুট পর জোড়াতালি দিয়ে পুরো ড্রেনটিকে বাকা করে তুলা হচ্ছে, এতে ড্রেনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিমত।
কাজে অনিয়মের পাশাপাশি আজ শুক্রবার (১০জুলাই)সকালে পৌরসভার রাধানগর ঘোষ পাড়ার রাস্তায় নির্মান সামগ্রী ফেলে হাজার মানুষের পথ চলাচল বন্ধ করে দেয় দিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পথচলাচলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে মানুষ প্রতিবাদ করলে দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর একটি অংশ খুলে দিয়েছে কিন্তু এই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইকবাল মাষ্টার জানায়, ড্রেনের কাজে অনিয়ম হচ্ছে না। বালি রাখার জায়গা না থাকায় ঘোষপাড়ার রাস্তায় অল্প সময়ের জন্য এক গাড়ি বালা রাখা হয়।
আখাউড়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ জানায়, শুক্রবার অফিস বন্ধ থাকায় তিনি কর্মস্থলে নেই। কাজের তদারকীর জন্য পৌরসভার একজন অফিস সহকারীকে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরো বলেন, কাজে অনিয়ম হওয়ার কথা নয়, তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করলে ভেঙ্গে নতুন করে করানো হবে।