
| মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০ | 400 বার পঠিত | প্রিন্ট
আখাউড়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক সপ্তাহে কিশোরী ধর্ষণ ও শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। মাদক চোরাচালান, চুরি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ তো রয়েছেই। করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো বিষয়ও বিদ্যমান। আসন্ন পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সভা-সমাবেশেরও হিড়িক পড়েছে এলাকাতে।
চলমান এ পরিস্থিতিতে সোমবার হওয়া উপজেলার মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় যান নি ওই সভার সদস্য আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। সভায় একজন উপ-পরিদর্শক (এস.আই) কে ওসি’র প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়। এ নিয়ে কানাঘুষা থাকলেও কেউ মুখ খুলে কথা বলেন নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত তিনমাসের সভায় একটানা অনুপস্থিত রয়েছেন ওসি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আখাউড়া থানায় যোগদানের পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রসুল আহমেদ নিজামী আইনশৃংখলা কমিটির সভায় প্রায়ই অনুপস্থিত থেকেছেন। আগে বেশিরভাগ সময় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুল আমীন ও বর্তমানে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুল আলমকে সভায় পাঠিয়ে দেন। সম্প্রতি শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও স্থানীয় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রশাসনের এক সভায়ও আসেন নি ওসি। বিষয়গুলো দৃষ্টিকটু হলেও সংশ্লিষ্ট কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলে বলত চান না।
সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে হওয়া সভায় এলাকায় মাদক বিস্তারের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক কমিটি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানানো হয়। কোথাও কোথাও মাদক নির্মূলের নামে হওয়া কমিটিতে মাদক ব্যবসায়িরা রয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। এছাড়া উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত সদস্যরা।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম এ প্রসঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনশৃংখলা কমিটির সভায় উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দেয়াসহ বিভিন্নভাবে বলা হয়। মন্ত্রীপরিষদ নির্ধারিত সভা এটা। এখানে প্রতিনিধি পাঠানোরও কোনো সুযোগ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিশ্চিত করেন যে, আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামী সর্বশেষ তিনটি সভায় আসেন নি। তবে সভাগুলোতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রতিবেদককেও কথা বলার জন্য আহবান জানান তিনি।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, ‘একটি উপজেলার জন্য মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এ সভাতেই অন্য কারো চেয়ে পুলিশের ভ‚মিকা বেশি। পুলিশের পক্ষ থেকে যদি ওসি’র বদলে অন্য কেউ পাঠায় তাহলে তাঁর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে সমস্যা হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমান ওসি একটানা তিনটি সভায় না আসার বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক যেভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায় সেভাবে করা হবে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রসুল আহমেদ নিজামী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইন শৃংখলা কমিটির সভায় আমাকে থাকতেই হবে কথা নেই। সোমবার জেলাতে পুলিশের সভা থাকায় আমি ও পরিদর্শক (তদন্ত) কেউ যেতে পারি নি।আইনশৃংখলা কমিটির সভা থেকে জেলায় হওয়া সভা বড়। এর আগে একদিন আমি ছুটিতে থাকায় যেতে পারি নি। কিন্তু সব সভাতেই আমার প্রতিনিধি পাঠানো হয়। আমার বদলে যে দায়িত্বে থাকবে সেই হবে প্রতিনিধি।’
Posted ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম