
রওনক ইসলাম | শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪ | 181 বার পঠিত | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবার দুপুর নাগাদ দেড় থেকে দুই ফুট পানি কমে গেছে। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। দুই-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এদিকে পানি কমলেও স্রোতের তোড়ে আখাউড়া-কসবা সড়কের দেবগ্রাম ও নয়াদিল এলাকাকে ভাগ করা একটি ছোট্ট সেতুর একপাশ ধসে যায়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে আখাউড়ার সঙ্গে কসবা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া আরেকটি সেতুর সড়কের পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। দ্রুত পানি না কমলে এটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। দু’টি সেতুর কাছে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় ওই এলাকাসহ আশেপাশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থলবন্দর এলাকার কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে গিয়ে দেখা গেছে সেখানেও পানি একেবারেই কমে গেছে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঠিকঠাক থাকলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দু’একদিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
এদিকে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি শুক্রবার অনেক বেসরকারি সংগঠনকেও ত্রান কাজে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্র্রব্যাদি পৌঁছে দিয়েছেন।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, তাদের দুই ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকাতেই পানি কমে গেছে। এখন আর কেউ আটকে থাকার মতো অবস্থায় নেই। পর্যাপ্ত ত্রাণ সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে বলে তারা জানান।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীর রুহি জানান, মঙ্গলবার থেকে দেখা দেওয়া বন্যায় মোট ৪৭ গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে এক হাজার ছয়শ’র বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পানি নামতে শুরু করে। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তিনি পানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যাপ্ত পরিমাণে সহায়তা দিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
Posted ৬:১৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম