
| শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০১৯ | 1350 বার পঠিত | প্রিন্ট
মো:সাইফুল ইসলাম#
বাবা মজিবুর রহমান খান (৫০)সহ একই পরিবারের ৭ জনের মধ্যে ৫ জনই প্রতিবন্ধি। জন্মসূত্রে প্রতিবন্ধি হলেও এদেরকে সবসময় হাসিখুশি দেখা যায়। পরিবারে আর্থিক টানপোড়েনের কষ্ট থাকলেও তারা হার মানেনি। সবকিছু মেনে নিয়েছে হাসিমুখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার দেবগ্রাম উত্তরপাড়ায় তাদের বাড়ি।
মজিবুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তার ও তার বড় ছেলে আশিক খান (১৮) স্বাভাবিক জীবন যাপন করলে মজিবুরসহ তার ছেলে মাসুদ খান (১৫), মুহিন খান (১২), তুহিন খান(৭) ও একমাত্র কন্যা ফাতেমা খানম (২) খর্বাকৃতির জীবন যাপন করছে। খর্বাকৃতির এই তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ ৮ম শ্রেণীতে, মুহিন ৫ম শ্রেণী ও তুহিন ১ম শ্রেণীতে পড়ছে। তারা তিন ভাই আখাউড়া প্রত্যাশী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আখাউড়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী হিসাবেও তাদের পরিচিতি রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ওরা সংগীত পরিবেশন করে সুনাম বয়ে আনছে।
স্কুল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দূরে হওয়ায় এরা পায়ে হেটে যেতে পারে না। নির্ভর করতে হয় পরিবহণের উপর। এই পরিবহণ ভাড়াটাও হয়ে উঠেছে দরিদ্র সংসারের বাড়তি বুজা। প্রতিবন্ধীদের সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত রয়েছে।
মজিবুর রহমান তার বাড়িতে একটি ছোট দোকান খুলেছে। এই দোকানের সামান্য আয় দিয়েই খেয়ে না খেয়ে তাদের অভাবের সংসার।
স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধাগ্রস্থ না হলেও খর্বাকৃতি তাদের কাছে অনন্ত এক কষ্টের বুঝা চাপিয়েছে। মানুষের অবহেলা ও হাসিঠাট্টার শিকার স্বিকার হন প্রায়ই। তারপরও হাসিমুখে তা মেনে নিচ্ছেন। মানুষের কাছ থেকে কষ্ট নয়, সহানুভুতি তাদের প্রাপ্ত।
পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান,ছোট্ট এই দোকান থেকে উপার্জিত অর্থে তাদের পরিবারের চলা কষ্ট হচ্ছে তাই তারা সরকারের কাছে সহযোগীতা কামনা করছেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, একই পরিবারের ৫ প্রতিবন্ধি তা বিরল ঘটনা এবং তারা সরকারী সহযোগীতা পাচ্ছেনা এটি ইতি পূর্বে তার জানা ছিলনা।তারা সরকারী সকল সহযোগীতা পাই সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করব।
Posted ৪:১০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০১৯
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম