
| সোমবার, ০৬ জুলাই ২০২০ | 434 বার পঠিত | প্রিন্ট
আশরাফুল মামুনঃ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে রবিউল্লাহ (৩৫) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত ও অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার বাড়ঘরিয়া নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিবউল্লাহ জেলার নবীনগর উপজেলার ফজলু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সিলেটগামী একটি মাছবাহী ট্রাক ঢাকাগামী কাপড়বাহী একটি পিকআপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৮/১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউল্লামের নামের ওই ব্যবসায়ী মারা যায়।
এই দিগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তিতাস নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় হিরু দাস (৮০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে পৌর এলাকার খরমপুর দাসপাড়ার নগরবাসী দাসের পুত্র। সোমবার সকালে দেবগ্রাম সংলগ্ন রেলব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের পরিবার জানায়, হিরু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।
রবিবার বাড়ির কাউকে কিছু না বলে সে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। পরে তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। সোমবার সকালে স্থানীয়রা পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, মরদেহ জেলা সদর হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যু কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নবীনগর উপজেলার চড়িলাম শান্তিপুর গ্রামে আজ সকাল ১১টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোল্লা বাড়ির লোকজন সাথে নয়াবাড়ির লোকজনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়।আশঙ্কাজনক অবস্থায় মজিদ মিয়া (৬৩),আবুল হোসেন (৭০) সাদ্দাম হোসেন (২৭) কে কুমিল্লা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়। আহত আঃ বাশার(৬০),বজলুর রহমান (৬৫),আল আমিন (৩০) ,আবুল খায়ের (৪৫) কে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হয়েছে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টাকার লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে নারায়ন সূত্রধর (৭০) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর আঙ্গুল কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ সময় তার ছেলে উত্তম সূত্রধরের (৩৮) ঠোঁটও কেটে নেয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের গোর্কণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতের ছেলে সুমন সূত্রধর জানান, ওই এলাকার বাসিন্দা মুছা মিয়া ও সুমন স‚ত্রধর পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন।
তিনবছর পূর্বে মুছা ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ইরাকে পাড়ি জমান। সেখানে যাওয়ার পর উত্তমের ব্যাংক হিসাবে ১লক্ষ বিশহাজার টাকার পাঠান এবং তার এক পরিচিত ব্যক্তিকে টাকাগুলো দিতে বলেন। সুমন সেই মোতাবেক টাকা পৌঁছে দেন। স¤প্রতি মুছা দেশে ফিরে ওই টাকা সুমনের কাছে পাওনা বলে দাবি করেন। এ নিয়ে বিরোধে মুছা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুমনের বাবা নারায়ন ও ভাই উত্তমের উপর হামলা চালিয়ে আঙ্গুল ও ঠোঁট কেটে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৬ জুলাই ২০২০
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম