
| বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট ২০২০ | 486 বার পঠিত | প্রিন্ট
নিহত রাসেলের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। প্রায় চার বছর আগে রাসেল লেবাননে পাড়ি জমান। তার বড় ভাই সাদেকও লেবাননেই থাকেন। রাসেল বৈরুতে একটি তেলের পাম্পে চাকরি করতেন। রাসেলের লাশ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
উল্লেখ্য, বৈরুতের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান রনির (২৫) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের মার্চ মাসে লেবাননে যান।
এদিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে নিহত মেহেদী হাছান রনি (২৫) ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ছেলেকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বাবা তাজুল ইসলাম। আর মা ইনারা বেগম ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। স্বজনদের চোখেও পানি।
রনির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রনি। গ্রামের একটি স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু দারিদ্রের কারণে পড়াশোনা বেশিদূর এগোয়নি। বাহরাইন প্রবাসী বাবা তাজুল ইসলাম প্রবাসে সুবিধা করতে না পারায় পরিবারের কথা ভেবে রনি বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর্থিক দৈন্যদশার কারণে সুদে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ লেবাননে পাড়ি জমান রনি। এর মধ্যে রনির বাবা তাজুল ইসলামও বাহরাইন থেকে দেশে ফেরত আসেন। তবে পরিবারের জন্য হাসিমুখেই কাজ করে যাচ্ছিলেন রনি। লেবাবনের বৈরুতে একটি বিপনী বিতানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন তিনি।
Posted ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট ২০২০
Akhaurar Alo 24 | মোঃ সাইফুল ইসলাম