
| বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | 499 বার পঠিত | প্রিন্ট
বিজয়নগর প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ক্ষমতার বলে স্কুলের গাছ কর্তন অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের তিতাস পূর্বাঞ্ছলের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্টান ১৯৬৭ সনে প্রতিষ্টিত ” চমাপকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ”।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় , প্রায় অর্ধশতবর্ষী পুরোনো গাছ গুলো আজ অনেক পয়সার সম্পদ, টাকার লোভের বশবর্তী হয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে, প্রবল পেশি শক্তির মোহে, কাওকে তোয়াক্কা না করে, এমন মনোবল নিয়ে বীরদর্পে গাছ গুলো দিনের আলোতে কেটে নিয়ে গেছে, তা আর কেহ নয় উক্ত স্কুলের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি সহিদুল হক চৌধুরী ( চুন্নু চৌধুরী ) ও তার ছেলে জিয়াউর রহমান চৌধুরী (সুমন)।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ,এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হীন উদ্দেশ্যে গত ২০ জানুয়ারি ২০২১ ইং গাছ কর্তন করে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে আমি সহ আমার শিক্ষকদ্বয় সেলিম,সালাহউদ্দিন মো: বিল্লাল সহ স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাধা দিলে,পেশি শক্তির বলে সভাপতির ছেলে সুমন শিক্ষক কার্যালয়েএসে অনেক শিক্ষকের সামনে অকথ্যভাষা ব্যবহার করে আমাকে অপমান করে। স্কুলের গাছ কাটার বিয়য়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ও অফিসার ইনচার্য বিজয়নগর বরাবর প্রতিকার চেয়ে সহিদুল হক চৌধুরী ও জিয়উর রহমান চৌধুরী (সুমন) ২ জনকে আসামী করে ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ইং লিখিত অভিযোগ করি ও সে মোতাবেক তাহারা তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে মামলায় রুপান্তর হয়ে, এফআইআর হয়,মামলা নং- ৪৪/২১ , তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে বর্তমান সাংসদ র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী (এমপি) অবহিত আছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন,আমি সরেজমিনে তদন্ত করে এর সত্যতা পাই।
স্থানীয় চেয়ারম্যান,হামিদুল হক,চম্পকনগর বাজার কমিটির সভাপতি,জাহাঙ্গীর আলম রমজান,উপজেলা আওয়ামীলীগের ক্রিড়া সম্পাদক(চেয়ারম্যান প্রাথী)আব্দুল খালেক,সজিদুর রহমান চৌধুরী,আব্দুর রহমান চৌধুরী,আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সহ আরো অনেকে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন এবং আরো বলেন গাছের বর্তমান বাজার মূল্য গাছ প্রতি প্রায় ৯০,০০০ টাকা , তেমনিভাবে আরো পূর্বে বহুগাছ তিনি কর্তন করেছেন,এবং স্কুলের বাউন্ডারী ভেঙ্গেফেলে সীমানার ভেতরে গেইট সংলগ্ন খাঁজা গরীবেনেওয়াজ চাঁদের ঘর নামক দোকানে তৈরী করেন চটপটি,ফুসকা,চিকেন বর্গার ,(রেষ্টুরেন্ট) তৈরী করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, স্কুল গেইটের ভেতরে রেষ্টুরেন্ট বখাটে ছেলেদের আড্ডা খানায় রুপান্তরিত হয়েছে।
তাহারা আরো বলেন, এ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ৩ টি নাম ব্যবহার করেন, ১/ সহিদুল হক চৌধুরী, ২/ সানাউল হক চৌধুরী, ৩/ চুন্নু চৌধুরী। সময়উপযোগী নাম ব্যবহার করেন । তার আরো অনেক কুকির্তী রহিয়াছে ভয়ে কেহ মুখ খুলেনা, কারণ সে মামলাবাজ,অহেতুক মিথ্যা মামলায় জরিয়ে ফেলবে পূর্বে এলাকার অনেক মানুষকে মিথ্যা মামলায় নাজেহাল করেছে ।
অফিসার ইনচার্য বিজয়নগর মো: আতিকুর রহমান বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।
Posted ৮:২২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Akhaurar Alo 24 | সাইফুল ইসলাম